যে ‘প্রতারণা’য় অর্থ খোয়াচ্ছেন বিকাশের গ্রাহকরা
মানুষে মানুষে অর্থ লেনদেনে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে বিকাশ। কিন্তু এই লেনদেন অতি সহজ বলেই হয়তো বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। চতুর একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বরাবরই প্রতারণা করে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ইদানীং যোগ হয়েছে নম্বর হ্যাক করে টাকা নিয়ে যাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি।
বিকাশের হটলাইন ১৬২৪৭। যেহেতু কোনো প্রতারকের পক্ষে এই নম্বর থেকে ফোন দেওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা নম্বরটির পূর্বে একটি + চিহ্ন কিংবা ০০ লাগিয়ে ফোন দেয়। এই সামান্য পার্থক্য গ্রাহকরা মুহূর্তের মধ্যে ধরতে পারেন না। ফোন রিসিভ করার পর প্রতারক কথা বলেন বিকাশের এজেন্ট হিসেবে।
তবে গ্রাহককে বিভ্রান্ত করে ফেলা হয় তার আগেই। একটি নম্বর থেকে বিকাশে কিছু টাকা আসে। এরপর ফোন দিয়ে বলা হয়, ভুলে আপনার নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি এবং আপনাকে না জানিয়েই অফিসে কমপ্লেইন করেছি। তারা হয়তো আপনার বিকাশটি ডি-অ্যাকটিভ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে অফিস থেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
আসলে প্রতারক চক্র হ্যাক করে বিকাশটি ডি-অ্যাকটিভ করে দেয়। তারপর বিকাশের হটলাইন একটু এদিক-ওদিক করে এজেন্ট সেজে ফোন দেওয়া হয়। বলা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিকাশ নম্বরটি ডি-অ্যাকটিভ করা হয়েছে। সচল করতে চাইলে হটলাইন নম্বরের সাথে আপনার গোপন নম্বরটি (পিন নম্বর) যোগ করে আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন। এভাবে পিন নম্বর পাঠানোর পর উধাও হয়ে যায় অ্যাকাউন্টের সব টাকা!
এ বিষয়ে বিকাশ কর্মকর্তারা বলছেন- প্রথম কথা হলো, আমাদের হটলাইন ১৬২৪৭। এর আগে কিংবা পরে কোনো কিছু হবে না। যদি হয় তাহলে সেটা অবশ্যই হ্যাকারের নম্বর। গ্রাহকদের এটা মাথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিকাশ থেকে কোনো গ্রাহককে ফোন দেওয়া হয় না কিংবা তার কাছে কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হয় না।