Breakingদেশবাংলা

রান্না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেন তারা

গেল বছর করোনা মহামারিতে জেলার বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ালেও এ বছর তেমন কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তাই এই সংকটময় সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে একদল স্বেচ্ছাসেবী যুবক।

নিজেদের অনুদানের টাকায় তারা প্রতি দিন একবেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন ৫ শতাধিক অনাহারী মানুষের হাতে। কর্মহীন এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার একদল স্বেচ্ছাসেবী যুবক। নিজেদের অর্থে কিনে আনছেন চাল, ডাল, ডিম, সবজিসহ প্রয়োজনীয় বাজার।

আর তা দিয়ে নিজেরাই রান্না করছেন। তার পরে এসব খাবার বিতরণ করা হচ্ছে কর্মহীন হয়ে ঘরে অবস্থান করা অসহায় মানুষ, খাবার নিতে আসা শিশু ও অনাহারীর মাঝে। যুবকদের সঙ্গে এই স্বেচ্ছাশ্রমে যোগ দিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থী।

স্বেচ্ছাসেবীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত চালানো হবে এই কার্যক্রম। পাশাপাশি এই সংকটময় সময়ে তাদের মতো সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা।

স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের মধ্যে অপু পাটোয়ারী ও জাকির হোসেন মিয়াজী বলেন, লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ বিপাকে পড়েছেন। কর্মহীন এসব মানুষকে একটু সহায়তা করতেই আমরা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেই।

তারা আরও বলেন, আমাদের এই কাজে সহায়তা করছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। নিজেদের রান্নাকৃত খাবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কোড়ালিয়ার বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, গত বছর করোনাকালে অনেক ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন অসহায়দের কল্যাণে এগিয়ে এসেছিল। এ বছর খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ফলে নিম্নআয়ের মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল আহমেদ বলেন, সাধ্যানুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে সবার এগিয়ে আসা উচিত। তারা যে কাজ করছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। চাঁদপুর পৌরসভা ও ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের কাজে সহায়তা করব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − seven =

Back to top button