রেখা রানীর ঘুষ চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরিশাল দ্রুত বিচার আদালতের সেরেস্তা রেখা রানী দাসের প্রকাশ্যে ঘুষ চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার সরকারি কৌঁসুলি আইনজীবী একেএম জাহাঙ্গীর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালতের সেরেস্তা রেখা রানী দাসের প্রকাশ্যে ঘুষ চাওয়ার ভিডিওটি গত শুক্রবার ভাইরাল হয়। এর পর তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার আদালত খুললে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রেখা গত চারদলীয় জোট সরকারের সময় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অফিস সহায়ক (পিওন) পদে চাকরিতে যোগ দেন। পরে দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে পর্যায়ক্রমে প্রসেস সার্ভার ও সেরেস্তা সহকারী হন।
জানা যায়, ঝালকাঠির নলছিটির বাসিন্দা মনির হোসেন সম্প্রতি একটি মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জামিন আদেশের (বেলবন্ড) নকল কপি তোলার জন্য নিয়ম অনুযায়ী কোর্ট ফিসহ আবেদন করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে নকল জামিন আদেশ পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করলে বরিশাল জজ আদালতে সেরেস্তা রেখা রানী দাস প্রকাশ্যে ঘুষ না দিলে কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
সেরেস্তা সহকারী রেখা রানী দাস তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু মনির টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বিষয়টি তার মোবাইলে ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন।
তার ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে দেয়ার সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি নকল ওঠাতে বরিশাল জজ আদালতে গেছেন। সেখানে দায়িত্বরত নারী সেরেস্তা সহকারী তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি নিয়ম অনুযায়ী টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। আপনাকে কেন এক হাজার টাকা দেব?’ তখন ওই নারী নকল ওঠাতে আসা ব্যক্তিকে বলেন, ‘কাগজ নেবেন, টাহা দেবেন। টাহা দেবেন না, কাগজ পাবেন না। আপনে উকিল-মুহুরি লইয়া আহেন। আপনের লগে কোনো কথা নাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর বরিশালজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।