লকডাউনে সেবা দিতে প্রস্তুত অনলাইন শপগুলো
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনে সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের অনলাইনশপগুলো।
লকডাউনে শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও অনলাইনে বেচাকেনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া এ সময় কাঁচাবাজার-নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।
লকডাউনকে সামনে রেখে দেশের ই-কমার্স, মার্কেট প্লেস প্রতিষ্ঠানগুলোও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কমকর্তা মোহাম্মাদ রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। গ্রোসারি, ফুড ও সার্ভিসিংয়ের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। এ ধরনের আইটেম ডেলিভারির ক্ষেত্রে গ্রাহক যেন দ্রুত পায় সেজন্য প্রায় ৬ হাজার ইভ্যালি হিরো বা ডেলিভারিম্যান কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রোসারি আইটেমগুলো গ্রাহকদের অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে দেয়ার জন্য ৬ তারিখ ইভ্যালি গ্রোসারি সাইক্লোন অফার চালানো হবে। লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে ভালো সার্ভিস দেয়ার জন্য আমরা আরও অনেক ডেলিভারি হিরো নিয়োগের কাজ চলছে। সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার জন্য আরও বেশি ডেলিভারিম্যান নিয়োগ দিচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে সুপারশপ স্বপ্নের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমাদের আউটলেটগুলো খোলা আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে গ্রাহকরা কেনাকাটা করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের স্বপ্ন ডটকম চালু আছে। সেখানে ফোন দিয়ে কাস্টমার অর্ডার করতে পারেন, আমরা হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে থাকি। এছাড়া তারাও অনলাইনে অর্ডার দিতে পারেন। যারা হোম ডেলিভারি দিচ্ছে তাদের আগে থেকেই হেল্থ চেক আপ করা হয়। তারা পিপিই পরে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে। এছাড়া পণ্যগুলো আগে থেকেই স্যানিটাইজ করা থাকে।’
অনলাইন শপ শাবাব লেদারর্সের স্বত্বাধিকারী মাকসুদা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের প্রোডাক্টগুলো আমরা ফেসবুকে দিচ্ছি। আমাদের ওয়েবসাইটে দিচ্ছি। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটেও যাচ্ছে। আমরা নতুন করে পণ্যের ছবি দিচ্ছি। এছাড়া পহেলা বৈশাখ, ঈদ উপলক্ষে আমাদের নতুন পণ্য আসছে একইসঙ্গে বিভিন্ন ছাড়, অফারের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায় লকডাউনে আমরা ক্রেতার দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে পারব।’
গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। নভেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে থাকে। চলতি বছরের মার্চ থেকে ফের করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে শুরু করে সরকার। প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা দিলে ও পরে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়।