ক্যাম্পাসজীবন

শতবর্ষে মহানায়ক

হে মুজিব!
১৯২০ সালের ১৭ মার্চে
তুমি জন্ম নিয়েছো
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়
বর্ণাঢ্য শেখ পরিবারে।

আবহমান বাংলা ও বাংলার মানুষ
তোমায় বরণ করে নিয়েছে
বাহারি সাজ-সজ্জা
নাচ,গান,তবলা,বাদ্য ও ঢোলে।

হে অধ্যবসায়ী!
অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে এসে
তুমি মেধার স্বাক্ষর রেখেছো
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে।

হে মহান নেতা!
টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা থেকে
তুমি হয়েছো আজ বিশ্বনেতা;
আদর্শ,সততা,ন্যায়-নীতি নিয়ে নিপীড়িত
নির্যাতিত,শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে
তুমি নেতৃত্ব দিয়েছো উর্ধ্বশিরে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে।

হে বিশ্বনেতা!
তুমি তোমার শ্রদ্ধা,¯েœহ,ভালোবাসা,ব্যক্তিত্ব ও মহানুভবে
সোনার বাংলা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছো
বিশ্ব দরবারে!

হে কারিগর!
তোমার জীবন যৌবনের উচ্ছ্বাসে গড়া
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
সেই জন্মলগ্ন থেকে আজও নেতৃত্ব দিচ্ছে
সকল লড়াই আন্দোলন সংগ্রামে।

হে সংগঠক!
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে
তোমার প্রস্তাবেই গড়ে উঠা
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে
বিশ্বমানচিত্রে রক্ত ঝরিয়ে শুধু
আমরাই অর্জন করেছি মায়ের ভাষা বাংলা।

হে উপস্থাপক !
বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা
১৯৬৬ সালে বলিষ্ঠ কণ্ঠে
তুমিই উত্থাপন করেছিলে,
যাকে তুলনা করা হয়
বিট্রিশ রাজ্যশাসনের ম্যাগনাকার্টা রূপে।
তোমারই হয়েছে হিম্মত
অবাক করে দিয়েছো বিশ্ব,
জাতিসংঘে দিয়েছো ভাষণ ‘মাতৃভাষা বাংলায়’।

হে বঙ্গবন্ধু !
৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে তোমার মুক্তির দাবীর
গণজোয়ারেই তুমি কারাবাস থেকে মুক্ত হও
এবং হয়ে ওঠো আমাদের সকলের ‘বঙ্গবন্ধু’।

হে দূরদর্শী নেতা!
৭০’র নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে
ক্ষমতায় বসতে না পেরেও
তুমি আশাহত হওনি,
বরং সংগ্রাম চালিয়ে গেছো অভিষ্ট লক্ষ্যর্জনে।
৫ই ডিসেম্বর- পূর্ব বাংলার নাম
তুমিই রেখেছো ‘বাংলাদেশ’।

হে বজ্রকণ্ঠী !
৭১’র ৭ই মার্চে জ্বালাময়ী ভাষণ
আর একটি তর্জনীর ইশারায়
কি ছিলো কি ছিলো না?
সেই বজ্রকণ্ঠী ভাষণেই ছিলো
‘মহান স্বাধীনতা’র গোপন স্বরণি!

হে সফল সংগ্রামী !
৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ,দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীতে
৭১’র ২৬শে মার্চ আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,
এবং ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ১৬ই ডিসেম্বর
পেয়েছি কাঙ্খিত বিজয়-
“জয় বাংলা”!

হে বিপ্লবী !
তুমি বাংলা,বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য
যেমন করেছো লড়াই সংগ্রাম
তেমনি জীবনের সিকিভাগ
৪৬৮২ দিন করেছো কারাবাস।

হে সব্যসাচী !
খোকা থেকে বিশ্বনেতা
বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু
রাজনীতি থেকে রাজনীতির কবি
এবং ব্যক্তিত্বে হিমালয় খেতাবে হয়েছো ভূষিত।

হে বাঙালী প্রেমিক !
তুমি বাঙালীকে অত্যধিক ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে
যেমনি আনন্দিত হয়েছো, বিজয়ী হয়েছো
তেমনি হয়েছো সর্বহারা!!

লও সম্ভাষণ হে মহান নেতা!
লও সম্ভাষণ হে বাঙ্গালী জাতির পিতা
তুমি ছিলে সাহস, তুমিই ছিলে বল
তোমায় হত্যা করেছে ৭৫’র ১৫ই আগস্ট
ঘাতক দালাল নর-পিশাচের দল।

হে মহানয়ক!
হাটি হাটি পা-পা করে
দিন,মাস,বছর,বহু যুগের পর অর্ধশত ফেলে
তুমি পৌঁছে গেছো “আলোকিত শতবর্ষে”!

হে স্বপ্ন সাধক!
ক্ষুধা,দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সোনার বাংলা গঠনে
তোমারই সুযোগ্য কন্যা
জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা-
ইস্পাত কঠিন নেতৃত্ব দিচ্ছে
তোমারই দেখা স্বপ্ন পূরণে।

হে ক্ষণজন্মা কীর্তিমান!
তোমার আদর্শ-নীতি,আত্মত্যাগ সৃষ্টি ও কর্মে
তুমি স্থান করে নিয়েছো
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে!!

উৎসর্গ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শতবছর পূর্তিতে “শত লাইনের কবিতা”।।
লেখক: মো. বোরহান উদ্দিন (এলএস)
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =

Back to top button