শাহরিয়ারের পর স্ত্রী, দুই সন্তানও এবার করোনায় আক্রান্ত
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হবার পর এবার তার স্ত্রী ও দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে ১৩ মে অধিদফতরের এ আলোচিত কর্মকর্তা করোনায় পজিটিভ হন। বুধবার তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা এবং মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) করোনার টেস্টে পজেটিভ ফল আছে। তারা এখন বাসায় হোম করেন্টাইনে আছেন।
এদিকে গত ১৮ মে অধিদফতরের মহাপরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহা করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯ ) আক্রান্ত হন। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তা ও এক গাড়ি চালকও আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন অধিদফতরের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, রজবী নাহার রজনী এবং অধিদপ্তরের গাড়ীচালক মিলিয়া খানম। সব মিলিয়ে অধিদফতরের ছয়জন করানায় আক্রান্ত হলেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। বেশিরভাগ সেবা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ রয়েছে। ঠিক তখনই করোনায়র স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিদিন মাঠে অভিযান করছেন ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট ও রোজা ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল, সরবারহ নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। সঙ্গে অধিদফতরের একজাঁক তরুণ কর্মকর্তা ভোক্তা সেবায় উৎসাহ দিচ্ছেন।
রোজা রেখে রোদ বৃষ্টির মধ্যে প্রতিদিনই একজাঁক তরুণ কর্মকর্তা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পাইকারি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন আড়তসহ অভিযান করছেন বিভিন্ন সুপারশপেও। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করেছেন বিভিন্ন প্রতারক ও কারসাজিকারীকে।
প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে ঘুরে হ্যান্ডমাইকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের করোনার বিষয়ে সচেতন করেছেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ও হাতধোয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।