রাজনীতি

সরকার পতনের আন্দোলন চান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল। সেই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক নয় বরং সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নামা উচিত নেতা-কর্মীদের।”

আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে সকল সমস্যার মূল আখ্যায়িত করেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের এই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা বা আন্দোলনের দরকার নেই। শেখ হাসিনার সরকার পতনের দাবিতেই একমাত্র আন্দোলন হওয়া উচিত। কারণ সকল সমস্যার মূল হোতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার। আমাদের সকল চিন্তা, চেতনা, সামর্থ্য, শক্তি একত্রিত করে এই আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে।”

গয়েশ্বর আরও বলেন, “কয়েক জন ফেরেশতা দিয়ে যদি একটা নির্বাচন কমিশন হয়, আর সরকার যদি একজন শয়তান থাকে; তাহলে কমিশনের কিছুই করার থাকে না। সুতরাং নির্বাচন কমিশন কে হবে, না হবে- সে ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তা করার দরকার নাই। আমাদের দরকার সরকার পতন।”

“আমাদের প্রত্যেকের মামলা, মোকদ্দমা, হয়রানি, নির্যাতন, কারাবাস সবকিছুর উত্তর এক জায়গায়, যার বিরুদ্ধে লড়ছি তাকে সরাতে হবে। আর যার জন্য লড়ছি সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, “তিনি ঘরে বসেছিলেন গত দুই বছর। বিশ্ব এখনও করোনা মুক্ত নয়। ১৮৬ জন এর বিশাল বহর নিয়ে সফরে গেলেন, কত টাকা খরচ হয়েছে সেটা পরের কথা। আমার প্রশ্ন, তাদের কতজন কত টাকা সঙ্গে নিয়ে গেছেন বিদেশে রেখে আসার জন্য? সেটা আমার জানার বিষয়। কারণ স্পেশাল ফ্লাইট যেটায় প্রধানমন্ত্রী যান, সেটার জন্য সব দরজা খোলা থাকে। ঢাকা এয়ারপোর্ট কিছু জিজ্ঞেস করেনা। এ জন্য বিদেশে টাকা রেখে আসার সবচেয়ে বড় সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া। তাই ইতিমধ্যেই যদি কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়, তাহলে সেটা করেছে প্রধানমন্ত্রীর লোক জনই, প্রধানমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় করেছে।”

প্রজন্ম দলের সভাপতি জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fifteen =

Back to top button