Lead Newsক্রিকেটখেলাধুলা

সাকিবকে হত্যার হুমকিদাতা মহসিন তালুকদার গ্রেফতার

ফেইসবুকে লাইভ ভিডিওতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকিদাতা সিলেটের মহসিন তালুকদারকে(২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

সোমবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন অনুসারে অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ৬ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে সাকিব আল হাসানকে গলা কেটে হত্যার ঘোষণা দেন মহসিন তালুকদার নামে ওই যুবক। সাকিবকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এসময় তিনি তার হাতে থাকা একটি চাপাতি প্রদর্শন করেন। কলকাতায় গিয়ে কালি পূজার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করায় সাকিবকে এ হুমকি দেওয়া হয়।

সেইসাথে ওই যুবক লাইভে তার নিজের পরিচয়ও প্রকাশ করেন। অবশ্য, একইদিন ভোরে ওই যুবক তার ফেসবুক থেকে আরেকটি লাইভে এসে রাতের ভিডিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সাকিবকে ক্ষমা চাইতে বলেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আশরাফুল্লাহ জানিয়েছিলেন, সাকিবকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি নজরে আসার পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে। এ বিষয়ে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে যুবকটি আত্মগোপনে ছিলেন।

তাকে গ্রেফতারে রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার সকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে তাকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এদিকে, ভক্তের ফোন ভাঙ্গা ও কালিপূজায় অংশগ্রহণ নিয়ে সোমবারই নিজের মতামত জানান সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে এইসব মতামত জানান তিনি।

পূজার উদ্বোধন নিয়ে সাকিব বলেন, ঘটনাটি খুব সেনসেটিভ। আমি আসলে নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান মনে করি। আমার কোন ভুল হয়ে থাকলে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আর আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলেও আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সাকিব বলেন, মিডিয়াতে এসেছে আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আসলে আমি পূজার উদ্বোধন করতে যাইনি আর করিওনি। পূজার ‍উদ্বোধন আমি যাবার আগেই করা হয়েছে। আপনারা পূজার ইনভাইটেশন কার্ড দেখলেই বুঝতে পারবেন কে পূজার উদ্বোধন করেছে।

সাকিব বলেন, আমি সেখানে অন্য একটি অনুষ্ঠান গিয়েছিলাম। সেই অনুষ্ঠান শেষে আমার গাড়িতে উঠার রাস্তা ছিল পূজা মন্ডপের মধ্য দিয়ে। আমি যার ইনভাইটেশনে গিয়েছি (পরেশ দা) তার অনুরোধে আমি সেখানে শুধু প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করি আর পরেশ দার সাথে ছবি তুলি। আমি পুরো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আমি যে প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে কোনো ধর্ম বর্ণ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

আর পূজা মন্ডপের ঘটনা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, আমি আসলে একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে তা করবোনা। তারপরও হয়তো আমার ওখানে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা খেয়াল করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 2 =

Back to top button