Breakingখেলাধুলা

‘সাকিবের কথা দলের মনোবল ভেঙে দিয়েছে’

ইনজুরি ও জ্বরের কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। তাই অনভিজ্ঞ ওপেনারদের নিয়েই নামতে হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু আসরের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ নাঈম শেখ ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তামিম-লিটন না থাকায় দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমের। কিন্তু তারাও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার ৫ উইকেটে হারের পর তাই নিজের পাশপাশি দায়টা ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপরই চাপান সাকিব। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের এই মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি রমিজ রাজার। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটারের মতে, সাকিবের কথা দলের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ রাজা বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, যখন ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বললেন যে লিটন ও তামিম নেই। এটা বলা ঠিক নয়।

কারণ এমন মন্তব্যের পর সব দলই ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে, আমাদের ওপর ভরসা নেই, আমাদের স্কিলের ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের গোনায় ধরছেন না এবং তার চোখে আমরা ম্যাচ উইনার নই।’ রমিজ বলেন, ‘আপনাকে কৌশলগত ও বিশ্লেষণগতভাবে এই হারের কারণ বের করতে হবে। দ্রুত এর সমাধান করতে হবে।

কারণ বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ভালো ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশকে বাংলাদেশে হারিয়েছে। তাই সাকিবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের মানসিকতা ভালো অবস্থায় রাখা এবং এই হার থেকে শেখা। কারণ এটা কঠিন উইকেট ছিল।’ রমিজের মতে, বাংলাদেশের সমস্যা হলো সাকিব ছাড়া আর কোনো ভালো মানের অলরাউন্ডার নেই। তিনি বলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য শ্রীলঙ্কায় কঠিন উইকেট থাকে। কারণ এখানে বল আটকে আসে, এখানে হাফ স্পিনারও পুরো স্পিনার হয়ে যায়।

সাকিবের বলেও স্পিন হচ্ছিল। সাধারণত সে খুব বেশি বল স্পিন করে না। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সমস্যা হলো, তাদের কাছে সাকিব বাদে কোনো অলরাউন্ডার নেই। দ্বিতীয়টা হলো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার অপরিপক্ক বোলারদের চড়াও হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে।

২১ বছর বয়সী ওয়েললাগের থেকে ওভারে মাত্র ৪ এর ওপর রান নিয়েছে, এটাও এক ভুল ছিল। পাতিরানার কাছে ক্লাস, স্পিড আছে, স্লিংগিং অ্যাকশনের কারণে কিছুটা মুশকিল বোলার। কিন্তু থিকশানাকে চড়াও হতে দিয়েছে। কোনো জায়গায় মনে হয়নি, যে পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা এই কারণে ছিল না যে, এসব বোলারদের ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এমনকি আগ্রাসন দেখায়নি, জুটিও হয়নি। যখন উইকেট পড়তে থাকে, তখন জুটি গড়া জরুরি। ভারত বাদে এশিয়ান দলগুলোর বাবর আজমকে অনুসরণ করা উচিত।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =

Back to top button