Lead Newsপ্রকৃতি ও জলবায়ূ

সাত জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ

ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল এবং ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শৈতপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়াও শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অনত্র্য হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এ মাস শৈত্যপ্রবাহ থাকবে, আগামী জানুয়ারিতেও শৈত্যপ্রবাহ থেকে যেতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকার উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিকে কুড়িগ্রামে তীব্র ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের জীবনযাত্রা। পর্যাপ্ত আলো না মেলায় কমছে না ঠাণ্ডার প্রকোপ। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে শিশু ও বড়দের বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালেও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পঞ্চগড়ে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে যাচ্ছে এখানকার জনগণ। রাত থেকে ভোর, ভোর থেকে বেলা নয়টা পর্যন্ত কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকে। কখনও আবার বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে।

গতকাল শনিবার সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসে। গেল শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ছিল তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেন, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।

স্থানীয় নিম্নআয়ের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠাণ্ডা হাওয়া আর কুয়াশার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। শহরের সিনেমা হল সড়কের আশপাশে শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের জটলা বেঁধে আছে। সেখানে ফুলতলা এলাকার বাবুল ইসলাম (৪৮) বলেন, আমি গত দুই ধরে সময়মতো কাজে বের হতে পারছি না। ঠাণ্ডায় হাত ও পা অবশের মতো হয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =

Back to top button