সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণঃ সব ধর্ষকেরই দায় স্বীকার
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮ আসামিই একে একে আদালতে স্বীকার করলেন সেদিনের সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান ও তারেকুল ইসলাম তারেক আদালতে এ মর্মে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেন। এ নিয়ে মামলার এজহারভুক্ত ৬ আসামিসহ মোট ৮ জনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে আগামী ৯ অক্টোবর সিলেটের সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি বৈঠক বসছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেই বৈঠক থেকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে নিছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তারেক ও মাহফুজকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে তারেক ও মহানগর হাকিম-২ সাইফুর রহমানের আদালতে মাহফুজকে হাজির করা হয়। তারপর এ দুই আসামির জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয় পৃথক আদালতে।
তিন ঘণ্টার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাররা সেচ্ছায় স্বীকার করেছে ধর্ষণকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। দুই আসামির স্বীকারোক্তি প্রদানের কথা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, তারা ২ জনই ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে তাদের। এর আগে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এই দুইদিনে ৬ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।