কলমের সামান্য একটা খোঁচা, আর তাতেই গরুকে বাছুর বানিয়ে ফেলা হত বড় সহজে। ‘নামসাফাই’এর এই ফাঁক দিয়েই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর (কাস্টমস)-এর ‘বেনামী’ রোজগার হত কোটি কোটি টাকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু পাচারের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এমনটাই জানতে পেরেছে।
পাচারের এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ, কাস্টমস-সহ বিভিন্ন দফতরের একাধিক লোকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গরু পাচার নিয়ে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
বিএসএফের কমান্ডান্ট পদাধিকারী সতীশ কুমার। ২০১৬-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৮-র এপ্রিল— মাত্র ১৬ মাসের মধ্যে তাঁর বাহিনী মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে বাজেয়াপ্ত করেছিল ২০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক গবাদি পশু। কিন্তু বাজেয়াপ্ত করা সেই গরুই বিএসএফের সরকারি নথিতে হয়ে যাচ্ছিল বাছুর। গরুর যেই দাম, তার থেকে অনেক কম দামে সেই ‘বাছুর’-এর নিলাম হত স্থানীয় বাজারে। এরপর ওই গরু ফের কম দামে কিনে নিত মুর্শিদাবাদের কুখ্যাত গরু পাচারকারীরা। সেই গরু পাচারকারী চক্রের মাথা বিশু শেখ।
এখানেই শেষ নয়। বাজেয়াপ্ত ওই গবাদি পশু ফের পাচার হয়ে যেত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে। আর বিএসএফ যে গরুকে বাছুর বানিয়ে দিল, তার ‘বদান্যতা’-র মূল্য দিত বিশু শেখের সিন্ডিকেট। বিএসএফের জন্য বরাদ্দ গরু প্রতি ২ হাজার টাকা। আর ৫০০ টাকা বরাদ্দ কাস্টমসের জন্য।
সূত্রঃ ওডি