স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

সুস্থ থাকতে খান ৫টি বীজজাতীয় সুপারসিড

দানাদার ও বীজজাতীয় খাবার সুস্বাস্থ্যের বড় নিয়ামক। এগুলো সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বীজজাতীয় খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর থাকে। বিভিন্ন ধরনের বীজ হচ্ছে ফাইবারের একটি বড় উৎস। এ ছাড়া এগুলোতে স্বাস্থ্যকর মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, বহু-অসম্পৃক্ত চর্বি ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হিসাবে বীজ খেলে তা আপনার রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে বিভিন্ন বীজকে সুপারসিড হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করা হয়।

১. তিসি বীজ
তিসি বীজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটের একটি বিশেষ উৎস। আর এ উপাদান দুটির জন্য তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের টিউমারের বৃদ্ধি কমাতেও সহায়তা করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফ্লেক্সসিড খাওয়ার ফলে তা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

২. চিয়া বীজ
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে অনেক পরিচিত একটি উপাদান হচ্ছে চিয়া বীজ। এটিও ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটের একটি ভালো উৎস। চিয়া বীজ রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে থাকে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাবারের পর রক্তের শর্করা কমাতে চিয়া বীজ অনেকটাই কার্যকর। এ ছাড়া আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করা কমানোর পাশাপাশি, চিয়া বীজ ক্ষুধা কমাতেও অনেক সহায়ক।

৩. তিল বীজ
তিল বীজে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তিলের বীজ প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করতে পারে। আর এটি আর্থ্রাইটিসসহ অনেক রোগের লক্ষণকে দূরে।

৪. কুমড়ো বীজ
পুষ্টিকর সব বীজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুমড়োর বীজ। এটি ফসফরাস, মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটের অনেক ভালো উৎস। এটি ক্যান্সারের লক্ষণ ও মূত্রাশয়ের পাথরের মতো জটিল রোগের লক্ষণ হ্রাস করতে পারে। এটি শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী। শিশুদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কুমড়োর বীজ মূত্রের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে মূত্রাশয়ের পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. সূর্যমুখী বীজ
সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ভিটামিন ই থাকে। নিয়মিত সূর্যমুখী বীজ খেলে তা সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের (সিআরপি) মাত্রা কমাতে পারে, যা প্রদাহে জড়িত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসেও উপকারী ভূমিকা পালন করে।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + nineteen =

Back to top button