Breakingধর্ম ও জীবন

হজের পর হজযাত্রীরা যে আমল করবেন

সামর্থ্যবান, সচ্ছল ও শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। এই বছর ও গত বছর করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে সমাপ্ত হয়েছে হজের সার্বিক কার্যক্রম। অন্যথায় প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রান্ত প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করেন।

হজের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয় করা। পবিত্র কোরআনে তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নির্দিষ্ট মাসে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজে) হজ অনুষ্ঠিত হয়। অতএব, এই মাসগুলোতে যার ওপর হজ ফরজ হয়, সে যেন (হজে গিয়ে) স্ত্রী সম্ভোগ, অনাচার ও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হয়।

তোমরা যেসব সৎ কাজ করো, আল্লাহ তা জানেন। আর (পরকালের) পাথেয় সংগ্রহ করো, নিশ্চয়ই তাকওয়া বা আল্লাহভীতি-ই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৭)

হাজি সাহেবরা হজের মাধ্যমে আল্লাহর নিরঙ্কুশ একত্ববাদের স্বীকৃতি দেয়। এরই আলোকে জীবন প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হয়। কাজেই হজ থেকে তাওহিদ বা একত্ববাদের দীক্ষা নিয়ে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে মহান হজের দিনে মানুষের প্রতি (বিশেষ) বার্তা হলো, আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তার রাসুলের সঙ্গেও নেই।’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ০৩)

হজ থেকে ফেরার পর আমল

হজ থেকে ফিরে এসে নিকটস্থ মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নাত। হজরত কাব বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন।’ (বুখারি শরিফ) হজ থেকে ফিরে শুকরিয়াস্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজন খাবারের দাওয়াত দেওয়া বৈধ। ইসলামী ফিকহের পরিভাষায় সে খাবারকে ‘নকিয়াহ’ বলা হয়।

জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি গরু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবিরা তা থেকে আহার করেছেন।’ (বুখারি) তবে অহংকার, লোকদেখানো ও বিশেষ উদ্দেশ্য সামনে রেখে এমন দাওয়াতের ব্যবস্থা করা ইসলাম অনুমোদন করে না। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া, খণ্ড: ৭, পৃষ্ঠা: ১৮৫)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =

Back to top button