Breakingধর্ম ও জীবন

হজ না করলে যাদের কবিরা গোনাহ হয়

নামাজ, রোজা ও জাকাতের মতো সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ ইবাদত। সামর্থ্য থাকার পরও ইচ্ছাকৃত যারা হজ করে না; এটি তাদের জন্য কবিরা গোনাহ।

হজ না করা কবিরা গোনাহ
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি। এটি শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও আর্থিক ইবাদত। সাধারণত এটিকে শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত হিসেবেই সবাই জানে। হজের জন্য শারীরিক ও আর্থিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক ও আত্মিক প্রস্তুতিও জরুরি।

হজ করার সামর্থ্য ও শর্ত পূরণের সামর্থ্য থাকার পরও যেসব নারী-পুরুষ ইচ্ছাকৃতভাবে হজ থেকে বিরত থাকে আর এ অবস্থায় মারা যায় তবে এটি তাদের জন্য কবিরাহ গোনাহের কারণ। আল্লাহ তাআলা হজের বিধান পালন সম্পর্কে ঘোষণা করেন-
وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ

‘আর এ ঘরের হজ করা সে সব মানুষের জন্য অবশ্যক কর্তব্য; যারা সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে । যে প্রত্যাখ্যান করবে সে জেনে রাখুক- আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)

হজ করা থেকে বিরত থাকা ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মাদারিতে থাকে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার (খরচ বহনের) মতো সম্বল (ধন-সম্পদ) ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহর) কোনো ভাবনা নেই।’ (তিরমিজি)

সুতরাং সামর্থ্যবান ও হজের শর্ত পূরণকারী সব নারী-পুরুষের উচিত, হজ করার সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা। কোনো কারণে হজ ফরজ হওয়ার পর তা ইচ্ছাকৃত আদায় না করলে কবিরা গোনাহের অপরাধে অপরাধী হবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সামর্থ্যবান নারী-পুরুষকে হজ ফরজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করার তাওফিক দান করুন। কবিরা গোনাহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 7 =

Back to top button