স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

হার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াটা বিশ্বজুড়ে একটি প্রধান স্বাস্থ্য উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে উল্লেখ করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট করেছে যে ২০১৯ সালে আনুমানিক ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষ হার্টের সমস্যায় মারা গিয়েছেন, যা সমস্ত বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর মধ্যে ৩২ শতাংশ জুড়ে আছে।

কোভিড ১৯ শুরু হওয়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে এবং চিন্তার বিষয় হলো এই যে তরুণ বয়সী হৃদরোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং এমনকী অতিরিক্ত ব্যায়াম করা সহ অসংখ্য কারণ হার্ট অ্যাটাকের নেপথ্যে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এটা বলা হয় যে ঠিক কখন হার্ট অ্যাটাক হবে তা বলা না গেলেও, শরীরের কিছু অংশ আসন্ন হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত আগে থেকেই দিতে পারে। এসব বিষয়ে নজর রেখে দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ করা যেতে পারে।

বুকে ব্যথা :

হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। যদি বুকের মাঝখানে ব্যথা, অস্বস্তি বা ভারী ভাব এক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

পিঠে ব্যথা :

বুকে ব্যথার সাথে খেয়াল রাখতে হবে পিঠে ব্যথা হচ্ছে কি না। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

চোয়ালে ব্যথা :
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও চোয়ালে ব্যথা হলে সেটাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে। অনেকেই ভাবেন যে এটা মাড়িতে কোনো সমস্যা বা দাঁতের সমস্যার জন্য হচ্ছে। যদিও সব সময় সেটা হয় না। যদি মুখের বাঁ দিকের চোয়ালে ব্যথা হয়, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।

ঘাড়ে ব্যথা :

ঘাড়ে ব্যথা অবশ্যই স্ট্রেস, পেশি ফুলে যাওয়া ইত্যাদির কারণে হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের আগেও বুকের ব্যথা ঘাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সাবধান হওয়াই ভালো।

কাঁধে ব্যথা :

একই ভাবে বুক থেকে শুরু হওয়া ব্যথা ঘাড়, চোয়াল ও কাঁধে ছড়িয়ে পড়ে। যদি একইসাথে এই ব্যথা কেউ অনুভব করেন তাহলে তার সত্বর ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

বাঁ হাতে ব্যথা :

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে যে ব্যথা হয় তার অন্যতম কারণ হলো রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা। আর সেই কারণেই বাঁ হাতেও ব্যথা হতে পারে। যদি বুকে ও হাতে এক সঙ্গে ব্যথা হয় তাহলে সাবধান হতে হবে।

তাৎক্ষনিক চিকিৎসা :

একজন ব্যক্তি যখন হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন, তখন তাৎক্ষণিক চিকিৎসার মধ্যে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। নিকটস্থ হাসপাতাল ও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগও করতে হবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − five =

Back to top button