Lead Newsবিবিধ

রিকশাচালকের মহত্ত্ব; ২০ লাখ টাকা পেয়েও ফেরত

টাকার লোভ কার না আছে! যারা লাখপতি তারা চায় কোটিপতি হতে। যারা কোটিপতি তারা চায় তাদের ধন-সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়ুক। অনিয়ম আর দুর্নীতি করে অনেকেই বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে যাচ্ছেন।

কিন্তু বগুড়ার রিকশাচালক লাল মিয়া তাদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০ লাখ টাকা পেয়েও মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন সততার কাছে টাকার কোনো মূল্য নেই।

শুক্রবার সকাল ৭টার ঘটনা। বগুড়ার ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথা। সার ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদ বগুড়া শহরের জ্বলেশ্বরীতলার ভাড়া বাসা থেকে রিকশাযোগে শহরের সাতমাথায় আসেন। তার কাছে ছিল ৩টি হাত ব্যাগ। যার একটিতে ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা।

রাজীব প্রসাদ জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাজারে রাসায়নিক সারের ব্যবসা করলেও সপরিবারে বগুড়া শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।

তিনি ভুলবশত রাজশাহী যাবার তাড়ায় রিকশাতেই ফেলে যান টাকা ভর্তি ব্যাগটি। এরপর তিনি গাড়িতে উঠে বিষয়টি টের পেয়ে সাতমাথায় রিকশাচালককে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু না পেয়ে সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।

অপরদিকে রিকশাচালক রাজীবকে খুঁজে না পেয়ে শহরের খান্দারের ভাড়া বাসায় টাকা রেখে পুনরায় তাকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় পুলিশ অন্যান্য রিকশাচালকদের সহায়তায় লাল মিয়াকে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে খান্দার গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তার  বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীকে টাকা ফেরত দেন।

লাল মিয়া ভাড়ায় রিকশা চালান। পুলিশ তাকে একটি নতুন রিকশা উপহার দেয়ার অনুরোধ করলে তাতে রাজি হন রাজীব। আগামী রবিবার লাল মিয়ার হাতে তুলে দেয়া হবে একটি রিকশা ও একটি মোবাইল ফোন।

বগুড়া সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আজও সমাজে ভালো মানুষ আছেন। মহানুভবতার পরিচয় দেন, লাল মিয়া তাদেরই একজন।’

পরে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তার কার্যালয়ে রাজীব প্রসাদের হাতে তার হারানো প্রায় ২০ লাখ টাকা তুলে দেন। এসময় পুলিশ ও রিকশাচালককে ধন্যবাদ জানান রাজিব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + twenty =

Back to top button