করোনাভাইরাসনগরজীবন

৭ ভাই গড়েছেন ৭০ শয্যার অত্যাধুনিক আইসোলেশন সেন্টার

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ২৫০ জনের লাশ দাফনের পর এবার রোগীদের সুবিধার্থে ৭০ শয্যার অত্যাধুনিক আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলছেন চট্টগ্রামের সাত ভাই।

আইসোলেশন সেন্টারে ১২ শয্যার আইসিইউ সুবিধাসহ থাকছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা। এর মাঝে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে নেয়া কিংবা নমুনা সংগ্রহেও সহায়তা করেছেন তারা।

নগরীর হালিশহর বি ব্লকের এক প্রান্তে গড়ে উঠছে সাত ভাইয়ের স্বপ্নের আইসোলেশন সেন্টার। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ধোয়ামোছা এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। বসে গেছে রোগীদের বেড। প্রতিটি বেডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনের জন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার। প্রস্তুত হচ্ছে আইসিইউ শয্যার পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারও।

৫ তলা ভবনের পুরোটাই হবে করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল। থাকছে করোনা রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় হাইফ্লো নজেল ক্যানোলা সিস্টেম।

আল মানাহিল আইসোলেশন সেন্টার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন বলেন, আইসিউয়ের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু যুক্ত করা হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে নানা ধরণের মানবিক কাজ করে আসছে এই সাত ভাই। বয়সে প্রবীণ হলেও তাদের কাজগুলো ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

আল মানাহিল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রধান নির্বাহী ফরিদ উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন বলেন, নমুনা কালেকশনে আমাদের একটা গাড়ি স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কাজ করছে।

আল মানাহিল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ম্যানেজার মো. শামসুর রহমান বলেন, নমুনা নিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। এটা দেখার পর থেকে আমরা চিন্তা করলাম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

রেডজোন হিসাবে চিহ্নিত নগরীর হালিশহর এলাকায় করোনার বিশেষায়িত কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। এ অবস্থায় এই আইসোলেশন সেন্টার স্থানীদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে যাচ্ছে।

আগামী ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করবে সাত ভাইয়ের এই হাসপাতাল। ৩ শিফটে ২৭ জন চিকিৎসক এবং ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + nine =

Back to top button