Lead Newsস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

অগ্নাশয় ক্যান্সার গবেষণায় সাফল্য দেখালেন বাঙালি বিজ্ঞানী

মানবদেহে ক্যান্সারের অন্যতম ভয়াবহ রূপ অগ্নাশয় ক্যান্সার। বিরল এ দুরারোগ্য রোগ স্টিভ জবস, প্যাট্রিক সোয়েইজসহ প্রযুক্তিক্ষেত্রের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই রোগের বিস্তার এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতার প্রধান কারণ হলো অগ্নাশয়ের অবস্থান পাকস্থলীসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাছাকাছি হওয়া।

অগ্নাশয় ক্যান্সার সবচেয়ে গুরুতর ক্যান্সারগুলোর অন্যতম হওয়ার কারণ এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া। আর সেই ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাতেই বড় সাফল্য দেখিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অনিন্দ্য বাগচি।

অগ্নাশয় ক্যানসার উপসমের জেনেটিক স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেছেন তিনি।

দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চিকিৎসকরা বলতেন, এই রোগের কার্যত কোনো চিকিৎসা নেই। তবে পরবর্তীকালে একটি হাইপোথিসিস তৈরি হয়েছিল এই রোগ নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সেই হাইপোথিসিসের উপর নির্ভর করেই রোগটির চিকিৎসা চলছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার জেনেটিক্সের অধ্যাপক অনিন্দ্য বছর সাত-আট আগে স্যানফোর্ড ব্রুনহ্যাম প্রেবিস মেডিক্যাল ডিসকভারি ইনস্টিটিউটে নিজের ল্যাবে অগ্নাশয় ক্যানসার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

তিনি দেখতে চাইছিলেন, যে হাইপোথিসিসের উপর দাঁড়িয়ে এ ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়, তা কতটা কার্যকর। বছর কয়েকের মধ্যেই অনিন্দ্য এবং তার সহকর্মীরা এক আশ্চর্য সত্যের মুখোমুখি হন। এতদিন ধরে যে হাইপোথিসিসের উপর ভিত্তি করে অগ্নাশয় ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল, তা রোগের উপশম তো করেই না বরং, উল্টো ফল হতে পারে।

শুধু অনিন্দ্য নন, তার সমস্ত সহযোগী এই আবিষ্কারে চমৎকৃত হন। দীর্ঘ প্রায় আট বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে শেষ পর্যন্ত অনিন্দ্য এবং তার দল একটি প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন, যা অগ্নাশয় ক্যান্সার উপসমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

এটি অগ্নাশয় ক্যান্সারের কোনো ওষুধ নয়, বরং অগ্নাশয় ক্যান্সার উপসমের একটি জেনেটিক মডেল। এটি ব্যবহার করে তৈরি হতে পারে ওষুধ। এবং যার ব্যবহার শুরু হলে অগ্নাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 19 =

Back to top button