অনলাইন ক্লাসে যোগদিতে না পেরে আত্মহত্যা
করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বিশ্বের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এর মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চালু রাখতে অনেক দেশের মত ভারতেও চলছে অনলাইন পাঠদান কর্মসূচি।
কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসে যোগদানের সক্ষমতা নেই দেশটির অনেক ছাত্র-ছাত্রীর। এর ফলে তাদের অনেকেরই মনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র হতাশা। আর সেই হতাশা থেকেই সম্প্রতি আত্মহননের মত ভয়ঙ্কর পথ বেছেঁ নিয়েছে দেশটির এক ছাত্রী,খবর আনন্দবাজার।
সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার মলপ্পুরম জেলায় ঘটেছে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা। দলিত সম্প্রদায়ের দিন-মজুর বাবার সন্তান ১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরীর নাম দেবিকা বালাকৃষ্ণন। জেলাটির স্থানীয় এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে।
কিশোরী সেই ছাত্রীর ছিল না কোনো স্মার্ট ফোন। তিন মাস ধরে বাড়ির টেলিভিশনও খারাপ। এ দিকে গত সোমবার থেকেই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে রাজ্যে। পড়ার সুযোগ মিলবে না, এই আশঙ্কা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিল দেবিকা। সন্ধাবেলায় তার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মিলেছে দেবিকার সুইসাইড নোটও। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমি যাচ্ছি।’
লকডাউনের জেরে দেবিকার দিনমজুর বাবার রোজগার না থাকায় সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিলো। স্বভাবতই মেয়ের টিভি সারানোর আবদার রাখা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় জেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ।
এরই মধ্যে টেলিভিশন বা স্মার্ট ফোন নেই, এমন পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য জেলাশাসকের কাছে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধি।