Lead Newsঅপরাধ ও দূর্ঘটনা

অপরাধ করেছি, ব্যবসা চালু হলে টাকা ফেরত দেব: সাহেদ

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে বলেন, ‘স্যার আমি অপরাধ করেছি। ব্যবসা চালু হলে আস্তে আস্তে সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’

আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক চানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।

সাহেদ বলেন, ‘আমি ও মাসুদ দুইজনই অপরাধী। আমার বিরুদ্ধে মামলার রিমান্ড শুনানি ঈদের পর হলে ভালো হয়। কয়দিন ধরে রিমান্ডে আছি। আমি অসুস্থ।’

আজ চার মামলায় সাহেদের সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের তিন মামলায় সাত দিন করে ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন আইনজীবী জামিন চান। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লা আবু তার জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘সাহেব মানুষের জীবন নিয়ে প্রতারণা করেছেন। তিনি একজন মহাপ্রতারক। আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’

এরপর চার মামলার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘সাহেদ প্রতারক। তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। চার মামলায় ৪০ দিনের রিমান্ড নেয়া প্রয়োজন।’

অপরদিকে মাসুদের তিন মামলায়, পশ্চিম থানায় দুই ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এর আগে গত ১৬ জুলাই সাহেদ-মাসুদ ও তরিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এস এম গাফফার আলম। অপরদিকে তাদের আইনজীবী নাজমুল হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম।

এর আগে করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ৮ জুলাই গ্রেফতার হন তরিকুল। ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। সুত্র জাগো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =

Back to top button