অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বাজেট বক্তৃতায় করোনাজনিত মহামারির কারণে চারপাশকে ঘিরে রাখা অমানিশার অন্ধকার একদিন কেটে যাবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করে বলেন, মহামারি কাটিয়ে আলোকিত ভোর উন্মোচিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল তিনটায় জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি তার বক্তব্যের বড় অংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেন।
বাজেট বক্তব্যের উপসংহার অংশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মানুষকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। পাশাপাশি দেশের মানুষের অন্ন-বস্ত্র যোগানের জন্য দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন, তাদের বিশ্বাস ও মনোবলের জায়গাটি অটুট রাখতে। কারণ, তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন জীবন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, থেমে থাকার জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় রচিত এই বাজেটের হাত ধরেই আমরা অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে পূর্বের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক ভিত রচনা করবো। ইতোমধ্যে আইএমএফ ঘোষণা করেছে, আগামী বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৯.৫ শতাংশ। যে অমানিশার অন্ধকার আমাদের চারপাশকে ঘিরে ধরেছে, তা একদিন কেটে যাবেই।’
বাঙালি জাতি শৌর্যবীর্যের এক মূর্ত প্রতীক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় জীবনে কালক্রমে যেসব সংকট ও দুর্যোগ এসেছে, বাঙালি জাতি সম্মিলিত শক্তির বলেই সেসব থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে। জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা শত্রুর মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করেছি। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সবাই এক পরিবার হয়ে, একে অপরের সাহায্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলা যুদ্ধেও আমরা জয়ী হবো, ইনশাআল্লাহ। এই ক্রান্তিকালে বিভ্রান্ত, ভীত বা আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের ধৈর্য্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’
মন্ত্রী এ সময় পবিত্র কোরআনের সুরা আল বাক্বারাহ’র ১৫৫ নম্বর আয়াতের বাংলা অনুবাদ পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— তিনি তার সৃষ্টির অকল্যাণে কিছুই করেন না, যা করেন কল্যাণের জন্যই করেন। তাই অবশ্যই অচিরেই তিনি তার কল্যাণের সুশীতল ছায়ায় আমদেরকে আশ্রয় দিয়ে এই মহামারি ভাইরাস থেকে সবাইকে পরিত্রাণ দান করবেন এবং আমরা ফিরে যাবো আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়, উন্মোচিত হবে হবে এক আলোচিত ভোরের।