ধর্ম ও জীবন

অসুস্থতায় রোজা না রেখে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের করণীয়

রমজানের রোজা মুমিন মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। অসুস্থতায় যারা রোজা রাখতে পারেনি আর সে অবস্থায়ই মারা যায় তবে পরিবারের ওপর তার এ রোজার বিধান কী? এ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনাই বা কী? আবার যদি কেউ রোজা রাখার মানত করে আর তা রাখার আগেই মারা যায় তবে এক্ষেত্রে পরিবার বা আপনজনদের করণীয় কী?

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে রোজা রাখার এবং অপারগতায় করণীয় সম্পর্কে কুরআনে পাকে ঘোষণা করেন-
‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ (রমজান) মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে।

যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

এভাবে কুরআনুল কারিমে মুসাফির, অপারগতায় কিংবা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রমজানের রোজা কাজা করার বিধান দিয়েছেন। আবার যারা অসুস্থতায় রোজা রাখতে পারেনি আর সে অবস্থায় মারা গেছেন তাদের রোজার ফয়সালা দিয়েছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যদি কোনো ব্যক্তি রমজান মাসে অসুস্থ হয়ে রমজান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত সুস্থ না হয় এবং এ অবস্থায়ই মারা যায় তাহলে তার পক্ষ থেকে মিসকিনকে খাবার খাওয়াতে হবে। তার রোজার কাজা নেই। আর তার ওপর মানতের রোজা থাকলে তার পক্ষ থেকে অভিভাবক তার কাজা রোজা আদায় করবে।’ (আবু দাউদ)

এ হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখতে অপারগ ব্যক্তি মারা গেলে তার রোজার জন্য মিসকিন খাওয়াতে হবে। তার পক্ষে কেউ রোজা রাখা লাগবে না। আর ওই ব্যক্তির যদি কোনো মানতের রোজা থাকে তবে তার পক্ষ থেকে কেউ তা আদায় করে নিতে হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + fourteen =

Back to top button