আন্তর্জাতিক

চীনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহারে ভারতকে হুশিয়ারি

ভারতকে কড়া ভাষায় হুশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। সীমান্তে ভবিষ্যতে চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহারে হুশিয়ারি দিয়েছে চীন।

চীনের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‌”যদি ভারতীয় সেনারা ভবিষ্যতে চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে সীমান্ত এলাকার চিত্র ভিন্ন হবে।”

মঙ্গলবার চীনা সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যদি ভারতীয় সেনারা অস্ত্রবিহীন সংঘর্ষে চীনা সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে না পারে, তাহলে গোলা এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র আপনাদের সাহায্য করতে পারবে না। এর কারণ, চীনের সামরিক শক্তি ভারতের চেয়ে অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী।

সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা নিরসনে বৈঠক শেষ করেছে দু্‌ই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দুই দেশের সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্মুখ অবস্থান থেকে পরস্পর দূরত্বে অবস্থান করবে। বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা নিরসনের পরই চীনা সংবাদ মাধ্যমটিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

‘চীন সীমান্তে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। তবে আমাদের পর্যপ্ত ক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় যে কোনো উসকানির জবাব দেয়ার। ভারতের স্বার্থেই সীমান্তে বিরোধ নিয়ন্ত্রণে চীনের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।’

এতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর অনুমানের বরাত দিয়ে বলা হয়, কিছু ভারতীয়রা বিশ্বাস করে ভারতীয় সেনা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তারা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে পরাস্ত করতে পারবে এবং ১৯৬২ সালে চীনের কাছে পরাস্ত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে পারবে।

আগের চীনা অর্থনীতি আর আজকের দেশটির অর্থনীতি এক নয়। চীনের জিডিপি ভারতের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এ ছাড়া চীনের সামরিক ব্যয় ভারতে চেয়ে তিনগুণ বেশি।

চীন সীমান্তে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। তবে আমাদের পর্যপ্ত ক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় যে কোনো উসকানির জবাব দেয়ার। ভারতের স্বার্থেই সীমান্তে বিরোধ নিয়ন্ত্রণে চীনের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

গত সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চীন-ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক কর্নেলসহ ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। এছাড়া ৭৬ সেনা সদস্য আহত হয়। অসমর্থিত সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে চীনের ৪৩ সেনা নিহত হয়েছে দাবি করা। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের বিস্তারিত জানানো হয়নি। ওই দিনই ভারতীয় ১০ সেনাসদস্যকে ধরে নিয়ে যায় চীন। পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে চলা সামরিক বৈঠকে তাদের ফেরত দেয় বেইজিং।

এরপরই শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি জানান, কেউ (চীন) সীমান্ত অতিক্রম করেনি।

পরবর্তীতে কূতনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হলেও উভয় দেশ সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখে। সবশেষ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতবেশী দুই দেশ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − four =

Back to top button