Lead Newsআইন ও বিচার

অস্বাভাবিক অফার দিয়ে ই-কমার্সে পণ্য বিক্রি করলেই মামলা

কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাজার মূল্য বা খরচের তুলনায় অনেক বেশি ডিসকাউন্ট দিয়ে পণ্য বিক্রির নামে গ্রাহকদের প্রতারিত করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে প্রতিযোগিতা কমিশন।

হাইকোর্টের এক আদেশের পর মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপারসন মো: মফিজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে প্রতিযোগিতা কমিশনের সভাকক্ষে কমিশনের সাথে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “গ্রাহকদের প্রতারিত করার লক্ষ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক ডিসকাউন্ট দিয়ে পণ্য বিক্রি করেছে। ব্যবসাও করছে গ্রাহকের টাকায়। আগামীতে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্যক্রমের প্রমাণ পেলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে।”

মফিজুল ইসলাম জানান, “প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ আগস্ট কমিশন মামলা দায়ের করে। তিনি বলেন, ঈদ ধামাকা নামে ৮০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি শরু হওয়ার পরই এই মামলা করা হয়। এর তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই চার্জশিট দেয়া হবে।”

সরকার নিজে ব্যবসা করে না, রেফারির দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকারের ব্যবসা-বান্ধব নীতি সহায়তা ও গ্রাহকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স অল্প সময়ে অনেক বেশি প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছে। তবে ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষা দিতে প্রতিযোগিতা বিরোধী কোনো কর্যক্রম আর বরদাশত করা হবে না।”

মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পদ্ধতি জেনে বুঝে ক্রয়াদেশ দেয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানান। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে দেশে ১৫০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলিশা মার্টসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার দায়ে ইতোমধ্যে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য জি এম সালাউদ্দিন ও নাসরিন বেগম, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাসস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 2 =

Back to top button