জাতীয়শিল্প ও বাণিজ্য

আগামী ৪ মাস পণ্যের সংকট হবে না, দামেও প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিত্যপণ্যের যে মজুদ আছে তাতে আগামী চার মাসেও কোনো পণ্যের সংকট হবে না ও দামে কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (০৭ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রেলে ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য ৪টি রুট ঠিক করা হয়েছে। সেগুলো হলো হিলি, বিরল, দর্শনা,  বেনাপোল।

তিনি জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট স্টক আছে। আমরা আগে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করে রেখেছিলাম ফলে প্রচুর স্টক রয়ে গেছে। আরও চার মাসেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সমস্যা হবে না। টিসিবিও পণ্য বিক্রিতে প্রস্তুত আছে। বিশেষ করে ছোলার প্রচুর মজুদ রয়েছে। যদিও আগামী রোজা পর্যন্ত এটি রাখা যাবে না, তারপরেও হয়তো অনেক পরিমাণ থেকে যাবে।

আগামীকাল থেকে ২৫ টাকা দরে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে টিসিবি। আগে থেকেই টিসিবি নিজেরা এবং ডিলারের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে কোনো অনিয়ম না হয়। ঢাকায়ও মন্ত্রণালয়ের ১০টি টিম আছে এটি পর্যবেক্ষণে। আর টিসিবি আগের চেয়ে ১০ গুণ পণ্য স্টক রেখেছিল। সে কারণে আমরা কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকতে পারছি। ট্রাকে এবং ডিলারের মাধ্যমে ৫০০ স্পটে পণ্য বিক্রি করতে পারছে।

তিনি জানান, আদার ক্ষেত্রে বাজারে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু চাপ সৃষ্টি করে তা সমাধান করেছে ভোক্তা অধিকার। তারা রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজার তদারকি করছে। তারা জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করেছে। ৫০ হাজার মাস্ক দিয়েছিলাম তারা মানুষকে তা দিয়েছে। টিসিবি, ভোক্তা অধিকার ও মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

মন্ত্রী আরও জানান, ভোক্তা অধিকার এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ জায়গায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছে। জরিমানা করা কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য না, তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীদের কন্ট্রোল করার জন্য করতে হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও টিসিবির পণ্য গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছে। ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা কেউ না কেউ থাকছে।

তিনি আরও বলেন, কোথাও কোথাও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী কিছু অসাধু কাজ করছে। কোথাও কোথাও অনেকের ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে। ফলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ৭ দিনে কোনো অনিয়মের রিপোর্ট পাইনি। আর জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে চিনি, তেল, ডালের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

করোনা সংক্রান্ত কারণে কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানায় যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি তাদেরকে ৬৫ শতাংশ বেতন আর যারা কাজ করেছেন তাদের সম্পূর্ণ বেতন দেয়া হচ্ছে।

শপিংমল খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শপিংমল খোলার বিষয়ে কোন কঠোরতা নেই। যারা চাইবে না তারা খুলবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − four =

Back to top button