আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ব্রাভো
২০১৯ সালে অবসর ভেঙে আবার ফিরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। লক্ষ্য ছিল একটাই- ক্যারিবিয়ানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখা। কিন্তু ডোয়াইন ব্রাভোর এই মিশন পুরোপুরি ব্যর্থ, সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদাঘণ্টা বেজে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসরের ব্যর্থতার পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও ইতি টেনে দিলেন এই অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে আর খেলবেন না ব্রাভো।
সেমিফাইনালের আশা শেষ হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৬ সালের আসরে শিরোপা জয়ীরা সাফল্য ধরে রাখতে পারলো না। পাঁচ বছর পরের প্রতিযোগিতায় বাজে পারফরম্যান্সে শেষ চারেও যেতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। তবে দুঃখ নেই ব্রাভোর মনে। বিদায়বেলায় অনেক অর্জনের সুখস্মৃতি সঙ্গী করে নিয়ে যাচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্রাভোর অবদান অনেক। এর আগে ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতায় সব মিলিয়ে আইসিসি প্রতিযোগিতার তিনটি শিরোপা নামের পাশে রেখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিচিহ্ন এঁকে নিলেন ব্রাভো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ৯০ টি-টোয়েন্টি খেলা এই অলরাউন্ডার কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে খেলেছেন ৫০০ ম্যাচের ওপরে।
তাই বিদায়বেলায় মাথা উঁচু রাখছেন ব্রাভো, ‘আমার মনে হয় সময়টা চলে এসেছে। দারুণ একটা ক্যারিয়ার পার করলাম। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রতিনিধিত্ব করার সময়টা ছিল উত্থান-পতনের। তবে যখন পেছনে ফিরে তাকাই, তখন নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয় নিজের অঞ্চল ও ক্যারিবিয়ান লোকজনকে দীর্ঘ সময় ধরে উপস্থাপন করতে পারায়।’
২০২১ টি-টোয়েন্টি ভালো যায়নি। তবে অতীতের শিরোপায় ব্রাভোর ঠোটে ঠিকই হাসির ঝিলিক, ‘আইসিসির তিনটি ট্রফি জয়, দুটো আমার অধিনায়ক (ড্যারেন সামি) এখানে রেখে গেছেন। একটা জায়গায় আমি গর্বিত যে আমাদের প্রজন্মের ক্রিকেটার যারা ছিলাম, আমরা বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের নাম তুলে ধরতে পেরেছি। যা করেছি শুধু সেজন্য নয়, আমাদের সাফল্যও সেই অর্জনের হয়ে কথা বলে।’
সুপার টুয়েলভ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদ পড়বে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভাবা যায়নি। ক্যারিবিয়ান স্কোয়াড দেখলেই বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার কথা প্রতিপক্ষদের। কিন্তু বাজে পারফরম্যান্সে শুরুতেই সব এলোমেলো করে ফেলে তারা। ব্রাভোও বলছেন, ‘আমরা মোটেও এমন বিশ্বকাপ চায়নি।’
ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে ব্রাভো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের অবশ্য অবসরের কোনও পরিকল্পনা নেই।