আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান জোরদার তালেবানের; চলছে তুমুল লড়াই
চার দিনে আফগানিস্তানের ছয় প্রদেশের রাজধানী দখলে নিয়েছে তালেবান। সেই সাথে দেশটির আরও বহু অঞ্চল দখল নিতে সরকারি বাহিনীর সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, “উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার ই শরিফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। এই শহরটি রক্ষায় জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ের প্রত্যয় জানিয়েছেন সরকারপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীরগুলোর সেনাপ্রধানেরা। সেই সাথে উত্তরাঞ্চল দখলে নেওয়া এলাকাগুলোর ওপরও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে তালেবান।
গতকাল সোমবার মাজার ই শরিফ ও রাজধানী কাবুলের মধ্যবর্তী প্রধান মহাসড়কের ওপর অবস্থিত সামানগান প্রদেশের রাজধানী শহর আইবাকের দখল নেওয়ার পর সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছেন তালেবান যোদ্ধারা, যোদ্ধারা সরকারি ভবনগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ” সরকারি সেনার এই অঞ্চল ত্যাগ করে চলে গেছে।
আইবাকের প্রাদেশিক কর কর্মকর্তা শের মোহাম্মদ আব্বাস বলেন, “একমাত্র পথ হচ্ছে স্বেচ্ছা গৃহবন্দি থাকা অথবা কাবুলের দিকে চলে যাওয়ার কোনো রাস্তা বের করা। কিন্তু এখন কাবুলও আর নিরাপদ নয়।”
তালেবান যোদ্ধারা এই সময়ে বিভিন্ন দিকে থেকে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার ই শরিফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই শহরের পতন হলে কাবুলের গনি সরকারের জন্য ধ্বংসাত্মক বিপর্যয় হয়ে দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আফগান সেনাদের দায়িত্ব তাদের নিজেদেরই নিতে হবে। নিজের রক্ষা নিজেকেই করতে হবে। এমন বার্তা শুনে আঞ্চলিক শক্তিমান নেতাদের সমর্থন চেয়েছে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
সুদীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে বাইডেনের দেশ। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে। সামরিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চায় না তালেবান— এমন কথা বলার পরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
সূত্রঃ রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে