Lead Newsআইন ও বিচার

আবরার হত্যা : আনিসুল হক সহ ৫ জনের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে রাজধানীর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক সহ পাঁচজনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের মালামাল জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমানের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ জানান, ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জাসিম বুধবার (২ সেপ্টেম্ববর) এই আদেশ দেন।

আনিসুল হক ছাড়া বাকি চারজন হলেন- কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।

আইনজীবী ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত ৫ জনের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে। আদেশ তামিলের প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখা হয়েছে।

এ মামলার দশ আসামির মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ পাঁচজন জামিনে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হয়। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম (গ) শ্রেণির (দিবা) শিক্ষার্থী ছিল।

আবরারের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর সিএমএম আদালতে আবরারের বাবা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান।

নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল চারটা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =

Back to top button