আমদানি কমের অজুহাতে আবারো বাড়ল পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে আমদানি কমের অজুহাত দেখিয়ে আবারো বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এ মূল্যবৃদ্ধির সাথে জড়িত বলে স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান।
আমদানীকারক ব্যবসায়ীদের দাবি- ভারতের মোকামে লোডিং বন্ধ থাকায় আমদানি কম হচ্ছে। তাই চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কমদামে পেঁয়াজ আমদানি করে বেশি দামে বিক্রির মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভ করছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি পেঁয়াজ বেচা-কেনায় কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগেও যে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন দাম বাড়িয়ে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। একইভাবে নগর জাতের পেঁয়াজ ৩৪ টাকার পরিবর্তে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার হিন্দু ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে ভারতের পেঁয়াজের মোকামগুলোতে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪ দিন পেঁয়াজের লোডিং বন্ধ ছিল। যেসব ট্রাক লোডিং অবস্থায় ছিল এখন সেগুলো আসছে। এ কারণে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। তবে রোববার থেকে ভারতের মোকামে পেঁয়াজের লোডিং শুরু হবে। বুধবারের মধ্যেই আমদানি স্বাভাবিক হয়ে আসলে দাম কমে যাবে।
হিলি স্থল বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা কমেছে। গত বৃহস্পতিবার যেখানে বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে ৩৬৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়, সেখানে শনিবার ৭টি ট্রাকে এসেছে ১৮২ টন পেঁয়াজ।