আরও চার হাজার ডাক্তার নিয়োগ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট কাটাতে আরও চার হাজার চিকিৎসকসহ নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে। আমরা চার হাজার নতুন ডাক্তার ও আট হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছি।”
টেকনোশিয়ান নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে দুই হাজার ও পরে আরও ১১ হাজার টেকনেশিয়ান নিয়োগ হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মোকাবেলায় সম্প্রতি ৪২তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে চার হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি।
রোববার দুপুরে মন্ত্রী গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরের সুরাবাড়ি এলাকায় ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখানে তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নে জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ যাবৎ ছয় কোটির বেশি ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মাসে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
“এ মাসে আশা করছি তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে পারব। তিন কোটি ডোজ দিতে পারলে আরও দুই কোটি নতুন লোক টিকা পেয়ে যেতে পারে। ২১ কোটি টিকা ক্রয় করা হয়েছে, সিরিঞ্জও বিদেশ থেকে ক্রয় করেছি। সেগুলো আমরা সিডিউল অনুযায়ী পাচ্ছি।”
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তিনি চচ্ছেন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি হউক। ভ্যাকসিনে আমরা যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হই এবং ভ্যাকসিন যাতে বিদেশেও আমরা রপ্তানি করতে পারি সেই স্বপ্ন আমরা দেখি।”
করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বিধায় দেশের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এটা আমরা স্বাভাবিক রাখতে চাই। এটা সম্ভব হবে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ ওয়াহেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সায়েফ উদ্দিন আহমেদ, সাংসদ হাবিব-ই- মিল্লাত, ওষু প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের যিন অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহমান।
আলোচনাসভা শেষে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওষুধ কারখানাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং কারখানা চত্বরে ঔষধি গাছের চারা রোপন করেন।
ডিবিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১২ একর জমির উপর প্রায় দুইশ কোটি ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ইনজেকশন, ইনহেলারসহ প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন হবে। এই প্রকল্পে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।