Lead Newsধর্ম ও জীবন

আল্লামা শফী আইসিইউতে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল-জামিআতুল দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। তবে আপাতত নীবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলামের বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আল্লামা শফী বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে দুপুর ১টা পর একটি বেসরকারি সংস্থার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক ও আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এনে দুপুরে বাবাকে (আল্লামা শফি) আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজকে ছুটি থাকায় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। এই কারণে এ মুহূর্তে তিনি আইসিইউতে আছেন। তবে উনার বমি হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করতে পারছেন না। তবে হুঁশ আছে; কথা বলতে পারছেন। সবাইকে তিনি চিনতে পারছেন।’

গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা সমস্যা নিয়ে আল্লামা আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরদিন ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে মাওলানা আনাস মাদানীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজত আমির আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ অনুভব করছেন। তাঁর স্যালাইন চলছে, রাইস টিউব দিয়ে খাবার দেওয়া হচ্ছিল। তিনি এখন স্বাভাবিক আছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাছাড়া আহমদ শফীর শারীরিক সুস্থতায় জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

আহমদ শফীর বয়স এখন প্রায় ১০৩ বছর। এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টে এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বার্ধক্যের কারণে এসব রোগ দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ফলে তাঁকে ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =

Back to top button