আল্লাহ রাগান্বিত হন এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকার আমল
যে কাজ করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি রাগান্বিত হন, এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহ তা’আলার দায়া ও অনুগ্রহের কোন বিকল্প নেই। যে কাজ করে অনেক মানুষই অপমানিত হয় এবং লাঞ্ছিত হয়। তাই আল্লাহর হুকুম অমান্য হওয়ার কারণে তার ক্রোধ ও লাঞ্ছনা থেকে বাঁচতে রোজাদার বেশি বেশি এ দোয়া পড়বেন-
اَللَّهُمَّ لَا تَخْذَلْنِيْ فِيْهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِيَتِكَ، وَلَا تَضْرِبْنِيْ بِسِيَاطِ نِقِمَّاتِكَ، وَزَحْزِحْنِيْ فِيْهِ مِنْ مُوْجِبَاتِ سَخَطِكَ بِمَنِّكَ وَأَيَّادِيْكَ يَا مُنْتَهَى رَّغْبَةَ الرَّاغِبِيْنَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা তাখজালনি ফিহি লিতাআররুজি মাচিয়াতিকা; ওয়া লা তাদরিবনি বিসিয়াত্বি নিক্বিম্মাতিকা; ওয়া যাহযিহনি ফিহি মিন মুঝিবাতি সাখাত্বিকা; বিমান্নিকা ওয়া আইয়্যাদিকা ইয়া মুনতাহা রাগবাতার রাগিবিনা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করো না । তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিও না। সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি- তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো। হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস।
রোজাদারের জন্য রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং এরপরও যদি মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে না পারে, মন্দ কাজের প্রভাবমুক্ত হয়ে ভালো কাজের দিকে ধাবিত হতে না পারে, তবে এর চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে তাঁর হুকুমগুলো সঠিকভাবে পালনের তাওফিক দান করুন, ও রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত এবং নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন, আমিন।