ইসরাইলের রাজনীতিতে নাটকীয়তা, পতন হবে বেনিয়ামিন সরকারের!
ইসরাইলের রাজনীতিতে নাটকীয়তা। মাত্র দু’বছরের মধ্যে সেখানে চারটি পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এ সময়ে টেকসই কোনো সরকার গঠিত হয়নি। সর্বশেষ সেখানে নির্বাচন হয়েছে গত ২৩ শে মার্চ।
এরপর বিরোধী দল ইয়েশ আটিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিডকে নতুন সরকার গঠনের জন্য ২৮ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ সময় শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার। তিনি এ সময়ের মধ্যে নতুন জোট গঠনের চেষ্টা করছেন। তবে এক্ষেত্রে তার সফলতা বড় অংশে নির্ভর করছে উগ্র ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেটের ওপর।
আজ রোববার নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা তার। পার্লামেন্টে তার দলের আছে ৬টি আসন। যদি তিনি লাপিডের সঙ্গে জোটে যোগ দেন, তাহলে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। দেশে রেকর্ড সময় ক্ষমতায় থাকা এই প্রধানমন্ত্রী তার রেকর্ড ধরে রাখতে পারবেন না।
এরই মধ্যে মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইয়াইর লাপিড একটি জোট গঠনের প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় নাফতালি বেনেট তার নিজের দলের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। তাদের মতামত নেবেন যে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বাম, মধ্য এবং ডানপন্থিদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই জোটে যোগ দেবেন কিনা।
যদি এমন জোট হয়ও, তবে তা হতে পারে ভঙ্গুর। ফলে এতে পার্লামেন্টে আরব সদস্যদের সমর্থন প্রয়োজন হবে, যাদের রয়েছে ইয়ামিনা দলের সঙ্গে মতের বিস্তর পার্থক্য।
সাম্প্রতিক সময়ে জনসমক্ষে নীরবতা বজায় রাখছেন নাফতালি বেনেট। অন্যদিকে লিকুদ পার্টির নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিজের মেয়াদের ইতি ঘটতে পারে বলে টুইটারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শুক্রবার। তিনি লিখেছেন- রিয়েল এলার্ট। বিপজ্জনক বামপন্থি একটি প্রশাসন সামনে এগিয়ে আসছে।
ইয়ামিনা দল থেকে শনিবার দিনশেষে ঘোষণা দিয়েছে যে, নাফতালি বেনেট আজ রোববার নিজ দলের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ৭১ বছর বয়সী ডানপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায়। তার এ সময়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের বিচার চলছে আদালতে। তবে তিনি নিজে এসব দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য এবার চেষ্টা করছেন নাফতালি বেনেট।