Breakingরাজনীতি

ইসিকে প্রভাবিত করতে কূটনীতিকদের জায়েদা খাতুনের চিঠি

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এছাড়া, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়ন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

রোববার (২১ মে) কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে ইংরেজিতে লেখা এক চিঠিতে জায়েদা খাতুন এসব দাবি জানান। তিন পাতার ওই চিঠির প্রথম একটি পাতা ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে। ইংরেজিতে লেখা জায়েদা খাতুনের চিঠিটি চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যদের কাছে একই দাবিতে চিঠি দেন।

এ চিঠির বিষয়ে জায়েদা খাতুনের ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি চিঠির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সিটি নির্বাচন করতে আমাদের পক্ষ নিয়ে কেউ একজন চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের পরে বিস্তারিত বলবো।

চিঠিতে জায়েদা খাতুন বলেন, আমি জায়েদা খাতুন আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের মা। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেই লাখো শান্তি প্রিয় মানুষ আমার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আমি ৯ মে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান আমাকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন, আমার জনসংযোগে হামলা করছেন এবং আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং এজেন্ট এবং সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। ব্যক্তিগত গুন্ডা ও প্রশাসনের ছদ্মবেশে বিশেষ পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

চিঠিতে জায়েদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আজমত উল্লা খান তার লোকজন নিয়ে আমার গণসংযোগের সময় আমার গাড়িবহরে বাধা দিচ্ছেন এবং তার পক্ষে (নৌকার) উস্কানিমূলক শ্লোগান দিচ্ছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা অযথা বিভিন্ন স্থানে আমার নির্বাচনী প্রচারণাকে অবৈধভাবে বাধা দিচ্ছে ও হয়রানি করছে। আমি এসব ঘটনা জানিয়ে একাধিকবার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সর্বশেষ গত ১৮ মে বিকেলে মহানগরীর টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আজমত উল্লা খানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার গাড়িবহরকে বাধা দেয় এবং আমার নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা চাই একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গঠনমূলক নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সুষ্ঠু ভোট করবে। সিসি ক্যামেরা দিবে, ইভিএমে ভোট হবে। যার ভোট সে দিবে, যে ভোট পাবে তার নামে ডিক্লিয়ার হবে। আমরাও এটাই চাই। ওনারা যে কমিটমেন্ট করছে ওইটার বাস্তবায়ন চাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − fourteen =

Back to top button