করোনাভাইরাসে লকডাউনে গৃহবন্দি থেকে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদেরকে সরকার ঈদের আগেই আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে যাদের আয় উপার্জনের পথ নেই, তাদের জন্য কিছু নগদ আর্থিক সহায়তা আমরা ঈদের আগে দিতে চাই। অন্তত পক্ষে রোজার ঈদের সময় তারা যেন কিছু সহযোগিতা পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।
সোমবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করোনাভাইরাসের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মহামারীর কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই ভাইরাসের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের ঈদের আগে কিছু আর্থিক সহায়তা আমরা দিতে চাই। যাতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণের ব্যবস্থা যেমন করেছি বা সহযোগিতা করেছি, বেসরকারি খাতেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই সহযোগিতা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে আমরা সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি বলেই অন্য দেশ থেকে ভালো আছি। এখন দেশের অর্থনীতির চাকাও ঠিক রাখতে হবে। এ জন্য সীমিত আকারে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অফিস-আদালত খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অফিস-আদালত সীমিত আকারে খুলে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে কিছু কিছু পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে খুলে দেয়া হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
কর্মক্ষেত্র দোকানপাটে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, হাঁচি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে সবাই মাস্ক পরবেন। নিজেকে রক্ষা করবেন। অপরকেও রক্ষা করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ছয় ধাপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
দেশে মার্চ মাসের ৮ তারিখ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৪৩ জন।