রাজনীতি

উন্নয়নের নামে দেশকে ফোকলা করেছে সরকারঃ মির্জা ফখরুল

উন্নয়নের নামে সরকার দেশকে ফোকলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রচিত ‘কুপি বাতির গণতন্ত্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রন্থটি প্রকাশনা করেছে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা। মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে আসতে আসতে ফরেন অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রির দেয়ালে বড় বড় করে লেখা দেখলাম ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’।

এটার ব্যাখ্যা অনেকে অনেকভাবে দিতে পারে সেটা বলব না। আজ বিশাল একটি ঘটনা ঘটেছে আপনারা কেউ দেখেছেন কিনা জানি না, এয়ারপোর্টের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। চিন্তা করেন, জনগণের টাকা নিয়ে যে এই সমস্ত তৈরি করা হচ্ছে, সেটা হঠাৎ করে ভেঙে পড়ছে। তাহলে তার মান কী হচ্ছে? আমরা একটি কথা বারবার বলছি, মেগাপ্রজেক্ট দিয়ে উন্নয়নের ধোয়া তুলে দেশটাকে ফোকলা করে দিচ্ছেন।

কাদের পয়সা নিচ্ছেন? গতকাল না পরশুদিন একটা খবর আছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফাস্টেস্ট ট্রেন হবে। দুটো চীনা কোম্পানি টাকা দেবে এবং সেটা দিয়ে তৈরি হবে। আর এতে আমার চাল, তেল, লবণ কিনতেও ভ্যাট দিতে হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবী ও মানবসভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে ‘ডার্টি’ বললে এটাকে খুব একটা খারাপ কিছু বলা হয়। আমরা বাংলাদেশে দেখছি, আমাদের রাজনীতিকে কোথায়, কীভাবে, একেবারে অন্ধকার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে কুপিবাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটা নোংরা নর্দমায় গিয়ে উপস্থিত করেছে। আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে জ্ঞানচর্চা নেই বললেই চলে।

বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আমরা যে একেবারে অন্ধকারে আছি, তা বলা যাবে না। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। সবাই খুব হতাশ, আমার চোখে পানি আসে, কান্না আসে। কিন্তু আমার যে কথাটি মনে হয়, কোথায় সেই মানুষ, কোথায় সেই নেত্রী শুধু গণতন্ত্রের জন্য এত বড় ত্যাগ করছেন। এইটা খুবই কম পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠান থেকে অসুস্থ থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জন্য দোয়া চান তিনি। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক জহির তৃপ্তি প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 2 =

Back to top button