Breakingআন্তর্জাতিক

এই দিল্লি সফর দিয়েই মোদি পতনের মিশন শুরু মমতার?

পেট্রোল-ডিজেলের চড়া দামে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতি। এরমধ্যে আসে পেগাসাসকাণ্ড। সব মিলে সংসদে নানা প্রশ্নের মুখে রয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।

আর এমন এক সময়ে রাজধানী দিল্লিতে পা রাখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দুই বছর পর দিল্লিতে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে তার একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের বাংলার খবররে বলা হচ্ছে, লক্ষ্য দিল্লির মসনদ! রাজ্য জয়ের পরই তাই নজর কেন্দ্রে। বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমবার মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের সাতবারের সাংসদ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। দিল্লি গেলেই সংসদ ভবনে যান তিনি। দেখা করেন পুরনো স্বতীর্থদের সঙ্গে। তবে, তৃতীয়বারের জন্য বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

মমতার এ সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে এবারই প্রথম দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বলা হচ্ছে, বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন প্রধান লক্ষ্য দিল্লিতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। সেই লক্ষ্যেই দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন পদে উঠে এসেছেন তিনি।

মমতার এ সফর ৫ দিনের বলেও জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি রওনা দেবেন মমতা।

বুধবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভবনা রয়েছে মমতার। এছাড়া মমতা দেখা করতে পারেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও। কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারসহ শীর্ষ বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতার। তবে এসব কখন হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।

এদিকে দিল্লি যাওয়ার আগে রোববার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক করেছেন মমতা। পিটিআই বলছে, কেন তড়িঘড়ি এই বৈঠক ডাকা হয়েছে সে বিষয়টা স্পষ্ট নয়। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সব মন্ত্রীকে ফোন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,গত মাসে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে বিভিন্ন দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হওয়ার পরে বিজেপিবিরোধী জোটের আলোচনা গতি পেয়েছে। বৈঠক হয়েছিল পাওয়ারের এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও টিএমসি যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে। প্রাক্তন এই বিজেপির প্রবীণ নেতা সিনহা নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + fifteen =

Back to top button