এক দশক পর মিশর সফরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গত এক দশকে প্রথমবারের মতো মিশরে সরকারি সফরে গেছেন।সোমবার লোহিত সাগরের তীবরর্তী শারম আল শেখ অবকাশযাপন কেন্দ্রে তাকে স্বাগত জানান দেশটির স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এখানে দুই নেতার বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সিসির মুখপাত্র বাসাম রাদি জানিয়েছেন, “এই সফরকে ঘিরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া ফের পুনরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে।” এদিন বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান তিনি, যা সবশেষ পরিস্থিতির আলোকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মিশর সফর করেছিলেন। ওই সময়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রয়াত হোসনি মুবারকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় দখলদার তেল আবিবের কোনো সরকার প্রধান কায়রো সফরে যাননি।
আরব নিউজ জানায়, “নিজেদের ভূমিতে অবৈধভাবে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা থেকে আরবদের সঙ্গে শত্রুতা শুরু হয় ইসরায়েলের। কয়েক দশকের সেই বৈরী সম্পর্ক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যুদ্ধের মাধ্যমে। এরপর প্রথম আরব দেশ হিসেবে ১৯৭৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে মিশর।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে এবং দেশ দু’টির মধ্যে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রাখতে দেখা যায় কায়রোকে। সবশেষ গত মে মাসে ১১ দিনের তেল আবিব-হামাস যুদ্ধেও উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে অবদান রাখে সিসি সরকার।
ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে মিশর। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকেও আমন্ত্রণ জানানো হলে দিন দশেক আগে কায়রো যান তিনি। তখন আল সিসি ও মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়।