Lead Newsআইন ও বিচার

এক বছর বাড়লো খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ

পৃথক পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর করে বাড়িয়েছে হাইকোর্ট।

পাঁচ মামলার মধ্যে ঢাকায় তিনটি মামলা, নড়াইল ও কুমিল্লায় রয়েছে একটি করে মামলা। এর মধ্যে ঢাকার তিনটি এবং নড়াইলের একটি মামলায় বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ জামিনের মেয়াদ বাড়ায়।

আর কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগের মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সূজা।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া আগেই ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া। তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর পর এই দণ্ড স্থগিত রেখেছে সরকার। প্রথমে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করা হলেও তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়।

সবশেষ ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ায় সরকার।
তিন দফায় ছয় মাস করে ১৮ মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করে দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থায়ীভাবে মুক্ত করার এখতিয়ার আদালতের।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে সাজা বেড়ে হয় দ্বিগুণ।

উচ্চ আদালতের আদেশের পর দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় হয় বিচারিক আদালতে। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

দুই মামলায় জামিন পেতে বিএনপির আইনজীবীদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে বিএনপি নেত্রীর স্বজনরা আবেদন করলে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হলে সাবেক সরকার প্রধানকে দুই শর্তে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে বেগম খালেদা জিয়া ফেরেন তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =

Back to top button