এবার রাজধানী সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা থাইল্যান্ডের
এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি দেশ থাইল্যান্ড তাদের রাজধানী স্থানান্তর করতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-ঝা ঘোষণা দিয়েছেন দেশের রাজধানী ব্যাংকক থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। যা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে তার সরকারের অধীনেই।
দুই প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার দেখাদেখি তারা রাজধানী স্থানান্তরের এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। মিয়ানমার ২০০৬ সালে তাদের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে সরিয়ে নেপিডোতে স্থানান্তর করে। আর ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা থেকে সরিয়ে বোর্নিও দ্বীপকে রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছে।
মূলত ঘনবসতি, পরিবেশ দূষণ আর যানজটের মতো নগরজীবনের বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবেলার লক্ষ্যেই দেশগুলো তাদের রাজধানী স্থানান্তর করছে কিংবা করার ঘোষণা দিচ্ছে। রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নিলে ব্যাংককেরও এসব সমস্যা থেকে খানিকটা মুক্তি মিলবে। তাই থাইল্যান্ড সরকারের এমন পদক্ষেপ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক বৈশ্বিক সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদক্ষেপটি বাস্তবায়নের জন্য দুটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। প্রথমটি হলো এমন কোনো শহর খোঁজা যা বেশি দূরে নয় এবং যেখানে রাজধানী স্থানান্তরের খরচ কম হবে। দ্বিতীয় যে উপায়টির কথা তিনি বলেছেন সেটি হলো, ব্যাংককের শহরতলীগুলোকে অর্থাৎ ব্যাংককের আশপাশের যে এলাকাগুলো আছে সেগুলোতে সরকারি ভবনসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানান্তর করা। যাতে মূল শহরে মানুষের সমাগম কম হলে যানযটসহ আরও অনেক সমস্যা কমে আসবে।
রাজধানী সরিয়ে নেয়ার দাবি থাইল্যান্ডে এটাই প্রথম নয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সময়েও থাইল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী নাখোন প্রদেশে স্থানান্তরের দাবি উঠেছিল, ব্যাংকক থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। খবর জাগোনিউজ।