Lead Newsআন্তর্জাতিক

ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সমর্থকদের বিশাল সমাবেশ, গ্রেপ্তার ১০

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় অস্বীকার করে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করেছেন হাজারো সমর্থক। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে ‘মিলিয়ন মেগা মার্চ’ নামের ওই সমাবেশ করা হয়। সমর্থকদের ওই সমাবেশে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবরের মতোই তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ভোট চুরি হয়েছে।

এরই মধ্যে ওই সমাবেশের আশপাশ থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ এবং সহিংস আচরণের জন্য তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে, দূর-দূরান্ত থেকে ট্রাম্প সমর্থকেরা ওই সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে অনেকের হাতেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন। এ ছাড়া সমাবেশে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। ওই সমাবেশে একটি গ্রুপকে লক্ষ্য করা যায়, যারা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ওই সমাবেশে জড়ো হয়েছে। তাদের হাতে ট্রাম্পের সমর্থনে বিভিন্ন ব্যানার দেখা যায়।

পরে টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, জর্জিয়ায় ভোট গণনা করে লাভ হবে না। কেননা মূল সমস্যা হলো, ডাকযোগে আসা ভোটের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এবং ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে মার্কিন নির্বাচনী কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, এবার ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেছেন, ভোটিং পদ্ধতিতে কোনো গরমিল, ভোট সরিয়ে ফেলা কিংবা ভোট বদলের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; কোনো ধরনের আপস-রফাও হয়নি।

গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর থেকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে আসা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবার নতুন করে কোনো প্রমাণ ছাড়াই ২৭ লাখ ভোট সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টা পর নির্বাচনী কর্মকর্তারা এ বিবৃতি দেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবিসি জানায়, যৌথভাবে বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে ‘ইলেকশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার গভর্নমেন্ট কো-অর্ডিনেটিং কাউন্সিল’। এই কাউন্সিলে আছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইলেকশন অ্যাসিসট্যান্স কমিশন’ এবং অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা—যাঁরা নির্বাচন তদারকি করেছেন।

এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ একেবারে সরাসরি খারিজ করে দিলেন। এ মুহূর্তে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে দেশজুড়ে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 4 =

Back to top button