Lead Newsআন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

কমেছে বায়ুদূষণ, কমেছে মৃতের সংখ্যাও

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপীয় দেশগুলোতে চলছে লকডাউন। এর ফলে কমেছে বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণ কম হওয়ায় গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এ বছর এপ্রিল মাসে ইউরোপে ১১ হাজার কম মানুষ মারা গেছে। সম্প্রতি সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

করোনা প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ইউরোপীয় অঞ্চলের অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে গেলেও উন্নতি হয়েছে বায়ু পরিস্থিতির। এ অঞ্চলে কয়লা উৎপাদিত বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে ৪০ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে তেলের ব্যবহারও ব্যাপক হারে কমছে। এ ছাড়া বন্ধ কলকারখানা ও শূন্য রাস্তাঘাট বাতাসকে আরো নিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইট্রোজেন অক্সাইড (এনও২) এবং বায়ুদূষণের ছোট উপাদান যা পিএম২পয়েন্ট৫ নামে পরিচিত উভয়ই কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। বাতাসে ক্ষতিকর এসব উপাদান ৩৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমে এসেছে।

সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক লরি মিলিভার্টা বলেন, বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই বায়ুর ক্ষতিকর উপাদান আরো বেশি মাত্রায় কমেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষকরা দেখেছেন টেকসই উপায়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত কমানোর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও জীবন মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।’

লরি মিলিভার্টা আরো বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আমাদের জনগণ, দেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হই, তাহলে পৃথিবীকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাদ দিয়ে অন্য কোনো উপায় খুঁজতে হবে।’

বলা হচ্ছে বায়ু দূষণে বিশ্বে ম্যালেরিয়ার চেয়ে ১৯ গুণ বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ হার এইচআইভি/এইডস এর চেয়ে ৯ গুণ এবং অ্যালকোহল পানজনিত মৃত্যুর চেয়ে তিনগুণ বেশি।

এ মাসের প্রথম দিকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি.এইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার এলাকায় কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর হার বেশির সঙ্গে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদান পিএম২পয়েন্ট৫-এর সরাসরি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘ বলছে, যেকোনো ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের প্রতি কিউবিক মিটারে পিএম২পয়েন্ট৫-এর পরিমাণ ২৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + eighteen =

Back to top button