করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর বায়োএনটেক ভ্যাকসিন
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও বায়োএনটেক ভ্যাকসিন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহিন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের টিকাটি খুবই কার্যকর। ভাইরাসটি হয়তো এখন আরও খানিকটা পরিবর্তিত হয়েছে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলক গবেষণায় আরও ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
সম্প্রতি করোনার নতুন স্টেইন (পরিবর্তিত রূপ) যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
উগুর শাহিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকাটি যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন স্টেইনের বিরুদ্ধে কাজ করবে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমরা ইতিমধ্যে অন্য ২০টি রূপান্তরিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। গবেষণা ও পরীক্ষার সময় সর্বদাই টিকাটি অন্য রূপান্তরিত ভাইরাসগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেছে।’
উগুর শাহিন বলেন, ‘‘বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকার জন্য যে অ্যান্টিজেন (জীবাণু প্রতিরোধক) ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে ১ হাজার ২৭০টিরও বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে নতুন স্টেইনে কেবল নয়টি রূপান্তরিত হয়েছে, যা ১ শতাংশের কম। টিকাটি সমস্ত প্রোটিন দেখে এবং একাধিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে শরীরে কাজ করবে। তবে করোনার নতুন স্টেইনের রূপটিকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করার সুযোগ নেই।’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত শনাক্তের মধ্যে দিয়ে সেখানে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ছাড়িয়েছে। একদিনে সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ৮৪১ জন, মোট প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার জন।
যুক্তরাজ্যে নতুন করোনার ধরন (স্ট্রেইন) আসার পরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন আগের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসটির নতুন ধরণ ছড়িয়ে পড়ার পরে যুক্তরাজ্যেও বেড়েছে সংক্রমণের হার। একদিনেই সেখানে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ আর প্রাণ হারিয়েছে ২১৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি আর মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজারের বেশি।