অন্যান্যখেলাধুলা

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ক্রিকেটারদের পরামর্শ

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী রূপ ধারণ করছে এটি। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনে।

স্বভাবতই করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে এরই মধ্যে সর্বস্তরে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এর বাইরে নয় ক্রীড়াঙ্গনও। বৈশ্বিক এ সংকটে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টাইগারদের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ সাবেক অধিনায়করা। এ বিষয়ে সবার কাছে সতর্কতা অবলম্বনের আবেদন করেছেন তারা।

মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে আসতে রাজি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। সচেতন হলে সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, করোনার বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশে কোনোভাবেই যেন এটি ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য সবাইকে যার যার স্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সবার বাড়ির আশপাশ ও পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে ফিরে কিংবা বাইরের কোনো কিছু স্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, যেখানে-সেখানে থুতু ফেলবেন না। সেটি অন্য কারও বিপদের কারণ হতে পারে। আমাদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেন এ দেশের মানুষের মধ্যে মারণঘাতী রোগটা ছড়িয়ে না পড়ে।

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক এবং সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, এ রোগ থেকে দূরে থাকতে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। অন্যকেও সাহায্য করুন। পরিষ্কার থাকতে সবার কাছে বার্তাটা পৌঁছে দেন।

করোনাভাইরাসের প্রকট প্রভাব পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। অনেক দেশে বড় ইভেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। হুমকির মুখে অলিম্পিক ও ইউরোর মতো আসর। ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ, আইপিএল, পিএসএলেও এর ভয়ঙ্কর থাবা পড়েছে।

কালো ছায়া পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। কদিন পরই পাকিস্তানে যাবেন টাইগাররা। সেখানে এরই মধ্যে বেশ কজন শনাক্ত হয়েছেন। ঝুঁকি থাকলে দেশটিতে দল নাও পাঠাতে পারে বিসিবি।

গেল বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রাদুর্ভাবটি এখন কেন্দ্র পরিবর্তন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়– ভাইরাসটি নতুন। এর এখনও কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।

তাই এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। পারতপক্ষে যতদূর সম্ভব, সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সতর্কতা হিসেবে কারও সর্দি-কাশি হলে কিংবা শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =

Back to top button