করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি গ্লোব বায়োটেকের
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা উদ্ভাবনের খবরে মানুষ যখন করোনা মোকাবিলায় আশাবাদী হয়ে উঠছে, তখন সুখবর দিল দেশের একটি প্রতিষ্ঠানও। তারা দাবি করছে, তাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন খরগোশের ওপর প্রাথমিকভাবে প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
শিগগিরই প্রটোকল তৈরি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ সুখবর দিয়েছে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বের মানুষ বিপর্যস্ত। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে তাঁদের নিয়মিত গবেষণার পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ কিট, টিকা ও ওষুধ তৈরি-সংক্রান্ত গবেষণা কর্মকাণ্ড তাঁরা শুরু করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা (ভ্যাকসিন) উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। বিবৃতিতে বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এ টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিরীক্ষার লক্ষ্যে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার এ ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ আরো বলেন, ‘এ ভ্যাকসিন সফল হলে আমরা এটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।’
বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ আরো বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আমাদের গবেষণা কেন্দ্রে প্রাণীর ওপর প্রাথমিক ট্রায়াল করেছি। আর তেজগাঁওয়ের ল্যাবে বাকি কাজ শুরু হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদলের প্রধান আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিনটি খরগোশের ওপর প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছি। এতে আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখেছি। তাই এখন পরবর্তী প্রটোকল তৈরির কাজ চলছে, যা শেষ করেই আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেব আনুষ্ঠানিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য।’