করোনার সংক্রমণ কমায় হাসপাতালগুলোতে শয্যা কমানোর সিদ্ধান্ত
করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে দেশে, তাই করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে দেয়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশপাশি নন-কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সেবা স্বাভাবিক করার জন্য সরকারি হাসপাতালেও করোনার বেড কমানো হচ্ছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগী কমলেও পরীক্ষাগার কমানো হবে না। এদিকে, অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা চলতি সপ্তাহে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।
দেশে করোনা শণাক্তের ২০২ তম দিনে ১২ হাজার ৪শ ৭৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৩শ ৮৩ জন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত হয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ , যার মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় ৫ হাজার ৪শ ৫০ টি শয্যা থাকলেও ১ হাজার ৭শ ৮১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, বেড খালি আছে ৩ হাজার ৬শ ৬৯ টি। ২শ ৯২ টি আইসিইউ শয্যায় ১৫৬ জন রোগী ভর্তি, খালি আছে ১৩৬ টি আইসিইউ বেড।
সারাদেশে ১৩ হাজার ৬শ ১৮ টি শয্যায় ২হাজার ৭শ ৬২ জন রোগী ভর্তি, বেড খালি আছে ১০ হাজার ৮শ ৫৬ টি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারের সঙ্গে এমওইউ বাতিল করেছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারে দেড় মাসে মাত্র আট থেকে পনের জনের মত রোগী ভর্তি ছিল। এই হাসপাতালের সবকিছুই আমাদের কোম্পানির খরচে করা। ওরা শুধু আমাদের জায়গাটা দিয়েছে,আর সবই আমাদের ভাড়া করা । সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা দেখলাম যে এগুলা পরিচালনা করা আমাদের জন্য লস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, যে সকল হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে সেসকল হাসপাতালকে আমরা নন কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু করার অনুরোধ করেছি।
তবে, করোনার নমুনা পরীক্ষা কমে আসলে, কমানো হবে না পরীক্ষাগার। বরং, যে সব জেলায় আরটিপিসিআর ল্যাব বসানো সম্ভব হয়নি, সেখানে এন্টিজেন কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে চলতি সপ্তাহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস পরিচালক ডা. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশে ল্যাবগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ল্যাবগুলোতে পরীক্ষা যদি কমও হয়,কিন্তু আমাদের তো পরীক্ষা করাতে হবে। তাই আমরা ল্যাবগুলো বন্ধ করার চিন্তা ভাবনা করছি না। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে তাই ল্যাবগুলো চালু রাখতে হবে।