Breakingজাতীয়

’করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি হয়েছে’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করোনা উপসর্গ না থাকলেও কিছুটা শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে তার অবস্থা উন্নতির দিকে আছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে দেখে এসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন।

খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন শেষ হয়েছে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, ’তার (খালেদা জিয়ার) অক্সিজেন সেচুরেশন সব সময় ৯৭ ও ৯৮ মধ্যে থাকে। আজকেও সেটাই ছিল। খাবারের রুচি আগেও ভালো ছিল, এখনও আছে। গত তিন দিন ধরে তার নরমাল টেম্পারেচার আছে। তার চেস্টেও কোনো সমস্যা নেই। কফ-কাশি কিছুই নেই। অর্থাৎ করোনার কোনো উপসর্গ নেই। শুধু অল্প শারীরিক দুর্বলতা আছে। এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয় তাদের দীর্ঘসময় শারীরিক দুর্বলতা থাকে’।

দিন-দিন খালেদা জিয়ার শারীরিক দুর্বলতা কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতকালের চেয়ে আজ তার শারীরিক দুর্বলতা অনেক কম। খালেদা জিয়া নিজেই বলছেন, গতকালের চেয়ে আজ তিনি আরও বেশি ভালো বোধ করছেন। কাজেই ১৪তম দিনে এসে একজন চিকিৎসক হিসেবে বলতে পারি, তার অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তার অবস্থা শুধু স্থিতিশীল নয়, তার থেকেও তিনি প্রতিদিন অল্প অল্প করে উন্নতি লাভ করছেন। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে তার কিছু ব্লাড টেস্ট করানো হবে। আগামী সপ্তাহে তার পরবর্তী করোনা টেস্ট করা হবে।

খালেদা জিয়া দেশবাসীর জন্য দোয়া করছেন বলে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, দেশবাসীর কাছেও তিনি দোয়া চেয়েছেন, যেন পূর্ণ আরোগ্য লাভ করতে পারেন।

খালেদা জিয়া কী শঙ্কামুক্ত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ঠিক আগের যে করোনা ছিল সেটার একটা নিয়ম ছিল শুরু হয়ে আস্তে আস্তে চলে যাওয়ার। কিন্তু এখন করোনার নতুন যে ধরন এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রোগী ভালো হয়ে যাওয়ার পরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এখন আমার বলছি তার করোনা টেস্ট করানো হবে, সেটার কী রিপোর্ট আসবে? আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা আক্রমণ করলে যেমন পজিটিভ আসে। আবার করোনা মৃত হয়ে থাকলেও কিন্তু পজিটিভ হয়। অর্থাৎ অনেক সময় ফলস পজিটিভও হয়, আবার ফলস নেগেটিভও হয়। কাজেই সার্বিকভাবে ধরলে তার অবস্থা উন্নতি হয়েছে বলা যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ ভারত-পাকিস্তান, ভূটানের রাজ-রানী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই ভাইরাস বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে। তবে ভবিষ্যতে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যাতে আবার এই ভাইরাসটা এখানে (খালেদা জিয়ার বাসায়) ঢুকতে না পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আল মামুন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার বাসভবন ফিরোজার আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন। তাদের চিকিৎসাও এখানে চলছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নির্দেশনায় চিকিৎসা চলছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর। গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান করা হয়। সেটির ফলাফলও ভালো এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 14 =

Back to top button