করোনা চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল উদ্বোধন
রাজধানীর মহাখালীতে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’ এর উদ্বোধন করা হয়। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইসডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রোগীদের জন্য সেন্টার অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা চিকিৎসায় এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ডিএনসিসি কাঁচাবাজারের এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে।
এতোদিন মার্কেটটিতে করোনার আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রম চলবে।
হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ৭ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাজারে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন এটিকে কিভাবে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করা যায়, আমরা তার পরিকল্পনা করছি। এই ভবনকে আমরা যদি আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি, তাহলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে।