করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে পুলিশ হাসপাতালের সাফল্য দাবি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।
তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত দুই পুলিশ সদস্যের শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা উন্নতির দিকে। তার ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্লাজমার কারণেই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেন, প্লাজমা থেরাপি দেয়া রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা একদিনেই বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ডা. এমদাদুল হক। দুই দিনের মধ্যেই পুলিশ হাসপাতালে রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার ডা. এমদাদুল হক বলেন, প্লাজমা থেরাপি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। তবে এখন পর্যন্ত রক্তের প্লাজমা আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে সেপারেশন করে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আমরা পুলিশ হাসপাতালেই প্লাজমা প্রক্রিয়াকরণের মেশিন বসানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। দুই তিন দিনের মধ্যেই এই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞের কথা
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সর্বপ্রথম প্লাজমা থেরাপি শুরু করে চীন। এরপর তুরস্ক, আমেরিকা, ইতালি, ভারতসহ অনেক দেশ এটি প্রয়োগ শুরু করে। যেহেতু করোনার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি এখন বের হয়নি তাই সমগ্র পৃথিবীতেই চলছে এটি নিয়ে গবেষণা।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা অনেক কিছু দিয়ে চেষ্টা করছেন যাকে বলা হচ্ছে Compassionate use। প্লাজমা থেরাপিও একই গোত্রের। তবে এর রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো ইতিহাস। FDA সহ অনেকেই প্লাজমা প্রয়োগের নীতিমালা তৈরি করেছে যেখানে তারা বলেছেন লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার পূর্বে এটি ব্যবহার করলে ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।